থানা ভবনই এখন অরক্ষিত! চুরি হয়ে যাওয়ার ভয়ে থানা অভ্যান্তরে মটরসাইকেল রাখলেও চুরির হাত থেকে রক্ষা পায়নি তা!
সোমবার রাতে বাগেরহাটের শরণখোলা থানা পুলিশের গ্যারেজ থেকে চুরি হয় ২টি পালসার মোটর সাইকেল। এদিকে থানা অভ্যন্তরে এ চুরির ঘটনায় এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, থানার ভিতরের গ্যারেজে ২টি পালসার মোটরসাইকেল রাখছিলেন শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বাদশা আলম ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন মুক্তা। কিন্তু পরদিন (মঙ্গলবার) সকালে গিয়ে আর মোটরসাইকেল দুটি পাননি তারা।
পুলিশের সামনে থেকে রাতেই রহস্যজনক ভাবে মোটরসাইকেল দুটি চুরি হয়ে যায়।
শরণখোলা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন মুক্তা জানান, সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে তিনি তার লাল রঙের পালসার মোটর সাইকেলটি (বাগেরহাট-ল-১১-০৯১২) থানা গ্যারেজে রেখে খুলনায় জান। সেখান থেকে ফিরে মঙ্গলবার সকালে গাড়ী আনতে গিয়ে আর তার গাড়ীটি পাননি। নিয়মিতই তিনি তার মোটর সাইকেলটি থানা রাখতেন বলে জানান তিনি।
অপরদিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বাদশা আলমগীর জানান, সোমবার রাত ১১টার দিকে তার টিয়া রঙের পালসার মোটর সাইকেলটি (বাগেরহাট-ল-১১-০৬৪৪) থানা গ্যারেজে রেখে বাসায় চলে যান। পরের দিন সকালে গাড়িটি না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন।
ক্ষতিগ্রস্থরা বাগেরহাট ইনফোকে জানান, ওই রাতে সেখানে পুলিশের কয়েকটি মোটরসাইকেল থাকলেও তাদের ২টি চুরি হয়। পুলিশের সহযোগীতা ছাড়া থানার গ্যারেজ থেকে মোটরসাইকেল চুরি হওয়া সম্ভব নয় বলেও দাবী তাদের।
এব্যাপারে শরনখোলা থানায় পৃথক দুইটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলে তারা জানান।
শরনখোলা থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. আব্দুস ছালেক জানান, আমাদের অবহিত না করে থানায় অনেকেই মটরসাইকেল রাখেন আবার নিয়ে যান। মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা বাদশা আলমগীর ও যুবলীগ নেতা আজমল হোসেন তাদের গাড়ী পাচ্ছেন না অভিযোগ করেছেন। তারা আদৌ থানায় মটরসাইকেল রেখেছিলেন কিনা তা রহস্যজনক।
ওই দুই নেতা থানায় পৃথকভাবে দুটি জিডি করেছেন। চুরির ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ওসি আরো বলেন, পুলিশ কারও গাড়ী পাহারার দায়িত্ব নেয়নি। এটা পুলিশের কাজও না। এখানে যারা গাড়ী রাখেন তারা নিজ দায়িত্বে রাখেন আবার নিজ দায়িত্বে নিয়ে যান।
তবে, খোদ থানা থেকে এভাবে দু-দুটি মোটর সাইকেল চুরির বিষয়টি সাধারণ মানুষের কাছে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।