স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কেবিন না পেয়ে বাগেরহাটের কচুয়ায় সন্তোষ মিন্ত্রী নামে হাসপাতালের এক ওয়ার্ড বয়কে পিটিয়েছে এক ছাত্রলীগ নেতা।
এ ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাৎক্ষণিক কর্মবিরতি শুরু করে। পরে পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে প্রায় পৌনে ১ ঘন্টা পর কর্মবিরতি কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন তারা।
পুলিশ জানিয়েছে, কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ ঘটনায় শনিবার সকালে ছাত্রলীগ নেতা খায়রুল আলম সাবুরের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
সাবু কচুয়া উপজেলা সদরের টেংরাখালী গ্রামের শেখ মোতালেব হোসেনের ছেলে এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি।
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) তাপস কুমার দাস বাগেরহাট ইনফোকে জানান, শনিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত চাচি শেফালী বেগমকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসেন সাবু। জরুরি বিভাগে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শেফালীকে ভর্তি করা হয়। সঙ্গে থাকা সাবু চাচিকে কেবিন দিতে বললেন।
এসময় ওই ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা ওয়ার্ড বয় সন্তোষ তাকে কেবিন খালি নেই বলে জানান। কেবিন খালি না থাকার কথা শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে ওয়ার্ড বয় সন্তোষকে মারধর করে চলে যান সাবু। পরে সন্তোষ বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শুধু জরুরি বিভাগ খোলা রেখে কর্মবিরতি শুরু করেন।
পরে পুলিশ এসে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাবুকে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেয়া হয় বলে জানান তিনি।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, হাসপাতালের কর্মচারী সন্তোষের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতা খায়রুল আলমকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।