বুধবার সকালে সুন্দরবনের বরকতের চর-শেলার চর এলাকায় র্যাব-৮ এর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় দুই বনদস্যু নিহত হয়েছেন।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের শেলারচর টহল ফাড়ি সংলগ্ন কালামিয়ার ভারানী খালে র্যাব-৮ ও বনদস্যু শহিদুল বাহিনীর মধ্যে বন্দুক যুদ্ধে শহিদুল বাহিনীর প্রধানসহ ২ দস্যু নিহত হয়েছে।
র্যাব-৮ এর সিও লে. কর্নেল ফরিদ উল আলম জানান, বেশ কিছুদিন ধরে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন সুন্দরবনের বরকতের চর-শেলার চর এলাকায় ৩০/৩৫ জন বনদস্যু নিয়ে গঠিত দু’টি গ্রুপ শহিদুল বাহিনী ও বাকি বিল্লাহ বাহিনী জেলেদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে আসছিল। জেলেদের কাছ থেকে মাছ-জাল লুটসহ হামলা ও জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় অসহায় হয়ে পড়েছিল ম্যানগ্রোভ বনের নিরস্ত্র মৎস্যজীবীরা।
খবর পেয়ে র্যাব-৮ এর একটি দল বুধবার সকালে ওই এলাকায় অভিযানে গেলে প্রথমে গা ঢাকা দেয় দস্যুরা। এর কিছুক্ষণ পর দস্যুরা র্যাব সদস্যদের ওপর অতর্কিত গুলি চালাতে শুরু করে। র্যাবও এসময় পাল্টা গুলি চালায়। থেমে থেমে প্রায় ২ ঘণ্টাব্যাপী চলা এ বন্দুকযুদ্ধের সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়। এ সময় দস্যুরা অভিযানকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে বনদুস্যরা পরাস্ত হয়ে পিছু হটে বনের ভেতর পালিয়ে যায়।
পরে শেলার চরের আশপাশের এলাকা তল্লাশি চালিয়ে ওই দুই বাহিনী প্রধানের লাশ উদ্বার করে র্যাব।
এছাড়া এসময় দস্যুদের আস্তানা ও আশপাশ থেকে ৬টি বন্দুক, ১টি পিস্তল, ৫টি শাটার/সুটার গান ও ২টি এয়ার গানসহ ২৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে র্যাব। উদ্ধারকৃত অস্ত্র, গুলি ও নিহত দস্যুদের শরণখোলা থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানায় র্যাব।