প্রতারক চক্রের আখড়ায় পরিনত হয়েছে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল। প্রতিনিয়ত এখানে ঘটছে চুরি, ছিন্তাই, পকেটমারিসহ নানা প্রতারনার ঘটনা।
হাসপাতাল অভ্যন্তরে পুলিশ ফাঁড়ি (আরটিওপি) থাকলেও কোন প্রকার প্রতিকার না মেলার ফলে দূর-দূরন্ত থেকে আসা রোগি ও স্বজনদের মধ্যে বিরাজ করছে আতংক।
রোববার বেলা ১১টার দিকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালের বর্হি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা এক মহিলা পড়েন পকেটমারদের ক্ষপরে। এসময় মহিলার ব্যাগ থেকে একটি মোবাইল ও ২ হাজার টাকা পকেটমাররা নিয়ে যায়।
এর আগের দিন শনিবার সদর উপজেলার আলুকদিয়া গ্রামের জনৈক রোকেয়া নামের এক রোগী চিকিৎসা নিতে এলে টিকিট কাউন্টারের সামনে থেকে তার একটি মোবাইল ও ১৮শ টাকা নিয়ে যায় পকেটমাররা।
সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত নুরুল ইসলাম নামের এক কর্মচারীর ব্যবহৃত বাইসাইকেলটি চুরি যায় হাসপাতাল থেকে। হাসপাতালের সিড়িতে লাগানো মুল্যবানের পিতলের প্লেট গুলোয় চুরি হয়েছে বেশ কিছু দিন হল।
হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্মচারী নুরুল ইসলাম বাগেরহাট ইনফোকে বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার আমার ব্যবহৃত বাইসাইকেলটি তালা বন্ধ করে জরুরী বিভাগের সামনে একটি কক্ষে রেখে “জরুরী বিভাগে” দায়িত্ব পালন কালে সাইকেলটি চুরি হয়ে যায়।
এছাড়া দূর-দূরন্ত থেকে আসা রোগি ও তাদের স্বজনেরা হসপাতালে দলাল চক্রের ক্ষপরে পড়ে হারাচ্ছে সর্বস্ব।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালে কর্মরত একাধিক ব্যক্তি বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, একটি সংঘবদ্ধ চক্র হাসপাতালের অভ্যন্তরে ঢুকে গ্রামের সহজ-সরল মানুষ ও রোগিদের কাছ থেকে কৌশলে অর্থকড়ি ও মালামাল নিয়ে যায়। এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে নানা অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকলেও পুলিশের ভূমিকা রহস্য জনক বলে দাবি করেন তারা।
হাসপাতালের অভ্যান্তরে এধরনের প্রতারা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দাবীও জানান।
এসব বিষয়ে বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা: মঈন উদ্দিন মোল্লা দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে চুরি ও পকেটমারদের কথা স্বীকার করে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে তিনি বলেন, হাসপাতালে এ ধরণের ঘটনা দু:খজনক। তবে এ বিষয়ে সকলের সচেতনতার পাশাপাশি কঠোর নজরদারী প্রয়োজন বলে তিনি জানান।
এব্যাপারে বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আজম খান জানান, ‘হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায় নি। তবে এবিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন তিনি।