ঘড়ির কাটা তখন সকাল ১০টার কিছু পর রোববার । ৩৩ লাখ টাকা নিয়ে মংলা সিমেন্ট ফ্যাক্টরীর ক্লার্ক (অফিস সহকারী) মমিন, মনিরুল ও নিরাপত্তা রক্ষী সালাম গাজী যাচ্ছেন ব্যাংকে টাকা জমা দিতে। তাদের জন্য অপেক্ষা করছিল ফ্যাক্টরীর মাইক্রোবাস।
গাড়িতে ওঠার পর ড্রাইভার রহুল আমীন’র চালা শুরু। কিন্তু কিছুদূর যেতেই হঠাৎ ড্রাইভার রহুল আমীন ভিন্নরুপ।
চলন্ত গাড়িতে বসেই লোহার রড দিয়ে তাদেরকে (ক্লার্ক মমিন, মনিরুল ও নিরাপত্তারক্ষী সালাম) পিটিয়ে আহত করে এবং বলে চুপ কথা বলবি না; গাড়ি ছিনতাই হয়ে গেছে। তবে এ ঘটনায় ড্রাইভার রুহুল আমীনও আহত হয়।
তাদেরকে মংলা বন্দর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে ফ্যাক্টরীটির একটি সূত্র আহতদের বরাত দিয়ে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে এ তথ্য জানান। তবে ঘটনার দুই ঘন্টার মধ্যে মংলা-খুলনা মহা সড়কের তিরজং গ্রামের কাছা থেকে টাকাগুলি উদ্ধার হয়।
এ ব্যাপারে সিমেন্ট ফ্যাক্টরির ডিজিএম (এডমিনিষ্টেশন) মেজর (অব.) মিজান ছিনতাইয়ের ঘটনা স্বীকার করলেও উর্ধতন কর্মকর্তাদের অনুমতি ছাড়া বিস্তারিত বলতে রাজী হন নি।
তবে এব্যাপারে মংলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম ঘটনাকে নাটক অভিহিত করে বাগেরহাট ইনফোকে জানান, বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করা হবে।