গত এক সপ্তাহে বাগেরহাটের দুটি উপজেলার প্রায় চার শতাধিক বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন।
০৬ এপ্রিল (রবিবার) জেলার রামপাল উপজেলার প্রায় তিনি শতাধিক নেতা-কর্মী এবং ১১ এপ্রিল (শুক্রবার) কচুয়া উপজেলা বিএনপির শতাধিক নেতা কর্মী আনুষ্ঠিানিক ভাবে আ.লীগে যোগদেন।
রামপালে উপজেলা শ্রমিক দলের সিনিয়র সহসভাপতি আঃ জব্বার খান ও রামপাল কলেজ ছাত্রদল নেতা আল ইমরান খানের নেতৃত্বে ৩ শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মী সাংসদ তালুকদার আঃ খালেকের হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।
রোববার বিকাল ৪ টায় উপজেলার পেড়িখালী বাজারস্থ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয় আয়োজিত যোগদান অনুষ্ঠানের স্বভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি হাওঃ দেলোয়ার হোসেনের।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব তালুদার আঃ খালেক। এছাড়া অনান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নব-নির্বাচিত রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মোঃ আবু সাঈদ, উপজেলা আওয়মী লীগের সহসভাপতি শেখ মোজাফ্ফর হোসেন প্রমূখ।
এদিকে, গতকাল শুক্রবার দুপুরে কচুয়া উপজেলা বিএনপি সহসভাপতি ও রাড়ীপাড়া ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শেখ লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে শতাধিক বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন।
উপজেলা আ.লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত যোগদান অনুষ্ঠানে শুক্রবার দুপুরে কচুয়া উপজেলা আ.লীগের সভাপতি হাজরা দেলোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শিকদার আবু বকর সিদ্দিকের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে তারা আ.লীগে যোগদান করেন।
তবে বাগেরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সালাম অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা নির্বাচনের পর জেলার বিভিন্ন এলাকায় তাঁদের দলের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকে আওয়ামী লীগে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছে। লুৎফর রহমান আওয়ামী লীগে যোগ দেবেন, এমন একটি খবর কয়েক দিন ধরে শোনা যাচ্ছিল। তিনি কচুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছেন।
এদিকে কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজরা দেলোয়ার হোসেন জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে লুৎফর রহমান শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাদের অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির আরো কিছু নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে বলেও জানান তিনি।
জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সালামের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় শান্তির রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। নিজেরা উদ্বুদ্ধ হয়ে রাজনীতিবিদরা আওয়ামী লীগে যোগ দিতেই পারেন।