বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হলেও জমিতে কারেন্ট পোকার আক্রমনসহ নানান রোগে শতাধিক হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায়র আসঙ্কায় কৃষকেরা।
কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর কৃষকদের স্ববলম্বী করতে প্রশিক্ষনসহ নানা সহযোগিতা করলেও শেষ সময়ে এসে পোকার আক্রমানে তা কোন কাজে না আশায় শতাধিক হেক্টর জমির ফসল ঘরে উঠনো সম্ভাব হচ্ছে না বলে আশাংখা করা হচ্ছে।
ফকিরহাট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে লক্ষমাত্রার চেয়ে ২শত হেক্টর বেষি জমিতে ধান চাষ করা হয়।
কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর ও স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শুরুতে সমগ্র উপজেলায় অন্যান্য বছরের তুলনায় বাম্ফার ফসল ফললেও শেষ সময়ে কৃষদের সে হাসি বিলিত হয়ে পড়েছে। তারা ক্ষেতে ভাল ফসল দেখলেও শেষ সময়ে অজ্ঞাতনামা নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ায় তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
কৃষকরা বলছে, একদিকে বিজ ধান ক্রয়ে চড়া মূল্য অন্যদিকে কৃষি কাজে ব্যবহৃত নানা উপকনের দফায় দফায় মুল্য বৃদ্ধিতে কৃষকরা দিশেহারা হওয়ার পরেও নানা রোগে ফসল মারা যাওয়ায় তাদের কারো কারো পোয়া বারো বেজেছে।
পিলজংগ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য অমল কুমার ঘোষ (কুনা), শেখ ফজলুর রহমানসহ কয়েক জন কৃষক বাগেরহাট ইনফোকে বলেন, কারেন্ট নামক রোগের আক্রমনে বিলের প্রায় সকল ধান মরে গেছে।
এ রোগের কারনে ধানের শীষে এক ধরনের পোকার আক্রমনে শীষ মরে তা শুকিয়ে যাচ্ছে।
একই এলাকার কৃষক গাজী দাউদ আলী বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, তারা এ রোগ প্রতিরোধের জন্য বহু প্রকার কীটনাশক ব্যবহার করলেও তা কোন কাজে না আশায় ধানের ভরসা ছেড়ে দিতে হয়েছে। উপজেলার প্রায় সব অংশেই এই ধরনের রোগে আক্রমন করেছে বলে জানান তিনি।
তবে অনেক কৃষকের অভিযোগ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর তাদেরকে (কৃষকদের) শুধুমাত্র পরামর্শ দেওয়া ছাড়া কোন উপকারী করতে পারেনী।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মোতাহার হোসেন বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, কিছু কিছু জমিতে তুলনামুলক ভাবে অতিরিক্ত পরিমানে ইউরিয়া সার ব্যবহার করায় শীষ মরা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে এই সময়ে ধানের ক্ষেতে বেশি পরিমানে পানি রাখা জরুরী।
প্রসঙ্গত, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে এ উপজেলায় প্রায় ৭ হাজার ১শত হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হচ্ছে। যা গত বছরের (২০১৩ সাল) তুলনায় প্রায় ২শত হেক্টর বেশি।