গত এক মাসে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে রেকর্ড সংখক চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু মাত্র পৌর সদরে মার্চ মাসে শতাধিক চুরির ঘটনা ঘটলেও এখন পর্যন্ত কাউকে ধরা যায়নি।
এর মধ্যে চোরের দল একটি ২৮ দিনের শিশু চুরি করে কচুরিপানায় ফেলে দিলে পরদিন মৃতদেহ উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন। এ ব্যাপারে একটি মামলা হলেও ধরা পড়েনি কেউ।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সংঘবদ্ধ চোরের দল গত ৪ মার্চ রাতে এনায়েত ফকিরের বাড়ি থেতে কৌশলে ঘরের দরজা খুলে নগদ টাকা সহ লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। পরদিন রাতে মো. মোকাম্মেল হোসেন ফকিরের বাড়িতে ঢুকে কৌশলে দরজা খুলে নগদ ১০ হাজার টাকা এবং মাসুদ শরীফের বাড়ি থেকে একটি ল্যাবটপ ও বিশ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
৬ মার্চ রাতে সমকাল মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি ফজলুল হক খোকনের বাড়ি থেকে একটি ল্যাবটপ, সোবাহান শেখের বাড়ি থেকে এক হাজার টাকা, মো: মামুন ফকিরের বাড়ি থেকে বিশ হাজার টাকা চুরি করে।
গত ২৩ মার্চ রাতে পৌরসভার অদূরে শুভরাজকাঠি এলাকার তিন রাস্তার মোড়ের শফিকুল, শুকুর ও সালাম মাতুব্বরের দোকান ভেঙে নগদ টাকা ও অর্ধ লক্ষাধিক টাকার মালামাল এবং একই এলাকার মো. খলিলুর রহমানের বসতঘরে সুকৌশলে ঢুকে ছেলে সাইদুল ইসলামের বিদেশে যাওয়ার জন্য রাখা নগদ ৮০ হাজার টাকাসহ প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
একই রাতে সানকিভাঙ্গা এলাকার দোকানি রফিক, হাসান ও মান্নান সহ প্রায় ১৪টি দোকান থেকে লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে খলিলুর রহমানসহ কয়েকজন থানায় আলাদা অভিযোগ দায়ের করেন।
গত ২৪ মার্চ দিবাগত মধ্যরাত পৌর সভার ৬ নং ওয়ার্ডে হেমায়েত মোল্লার বাড়ি থেকে ১টি টিউবঅয়েল চুরি যায়।
২৯ মার্চ চোরের দল পৌর সভার ৫নং ওয়ার্ডের মো: ফারুক শেখ, ভ্যান চালক আব্দুস ছালাম, স্যামল মিস্ত্রী, রাহেলা বেগম, স্বপন কর্মকার, শাখাওয়াত হোসেন বাবুল, মো: হাবিব, আজমল হোসেন ও মানিক কর্মকারের বাড়িতে চুরি করে।
৩১ মার্চ পৌর সভার ৩ নং ওয়ার্ডের প্রভাষক মো: শহিদুল ইসলামের বাড়ি থেক ২টি স্বর্ণের আংটি, ৫ হাজার টাকা চুরি হয়। এমনকি ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা তার স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা মাসুরা বেগমের কানে থাকা স্বর্ণালঙ্কার তার কান থেকে ছিঁড়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
৬ নং ওয়ার্ডের মো: মোতালেব শেখের বাড়ি থেকে ২টি মোবাইল নিয়ে যায় চোরেরা।
এব্যাপারে মোরেলগঞ্জ পৌর মেয়র অ্যাড: মনিরুল হক তালুকদার বলেন ‘পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না । আমি একাধিক বার বলেছি। এখন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।’
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মো: নিজামূল হক মোল্লা বলেন, ‘আমার এত সব বিষয় জানা ছিল না। তবে আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি।’