বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে বাগেরহাটের রামপালে নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ ও ভারতের শীর্ষ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল।
বুধবার দুপুরে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনকালে তারা প্রকল্পের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন এবং সুন্দরবনে সংক্ষিপ্ত ভ্রমণ শেষে বুধবার বিকালে হেলিকপ্টারযোগে তারা বাগেরহাট ত্যাগ করেন।
প্রতিনিধিদলে ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জেষ্ঠ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ সরকারের জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, একই মন্ত্রণালয়ের সচিব মনোয়ার ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক বেগম নিলুফার আহমেদ, বিআইএফপিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভিজয় শংকর তাম্রকার, ভারত সরকারের জ্বালানি সচিব পি কে সিনহা ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ।
প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাওয়ার কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড কর্তৃক রামপালে সাপমারি ও কাটাখালী এলাকায় নির্মাণাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প পরিবর্শনকালে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন।
এ সময় বৈঠক শেষে প্রতিনিধিদলের অন্যতম সদস্য ভারত সরকারের জ্বালানি সচিব পি কে সিনহা সাংবাদিকদের প্রকল্পের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যেই এর নির্মাণকাজ শেষ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. শুকুর আলী ও পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্লাসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা, রামপাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ প্রমুখ।
সূত্র জানায়, বেলা ১২টার দিকে প্রতিনিধিদলটি হেলিকপ্টারযোগে বাগেরহাটের মংলায় অবতরণ করেন। সেখান থেকে তারা সুন্দরবনে সংক্ষিপ্ত ভ্রমণে যান। দুপুর ২টায় তারা বিদ্যুৎ প্রকল্প এরাকায় বৈঠক করেন। সবশেষে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তারা হেলিকপ্টারযোগে মংলা ত্যাগ করেন।
বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন ধ্বংসের আশঙ্কায় স্থানীয় মানুষ, পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠনসহ বিভিন্ন মহলের আপত্তি সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার সাপমারি ও কাটাখালী গ্রামে কৃষিজমি অধিগ্রহণ করে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ কাজ শুরু করে।