বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের অভিযোগে ১টি ফিশিং ট্রলারসহ ১৫ ভারতীয় নাগরিককে (জেলে) আটক করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় ট্রলারসহ আটককৃতদের মংলা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
বৃহষ্পতিবার সকাল ১১ টায় মংলা বন্দর থেকে ৭০ নটিক্যাল মাইল দূরে বঙ্গোপসাগরের হিরণপয়েন্টের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে নৌবাহিনীর টহলরত জাহাজ মেঘনা ওই জেলেদের আটক করে।
এসময় ওই জেলেদের ট্রলার থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ৭০ কেজি মাছ উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- দয়াল মন্ডল, সব্যসাচী ভূইয়া, কার্তিক দাস, রবীন হালদার, নিরঞ্জন দাস, শুভেন্দু দাস, গোপাল দাস, ছিদাম সরকার, প্রেমানন্দ দাস, গৌরঙ্গ দাস, মৃত্যুঞ্জয় দাস, অমল দাস, বাচ্চু হালদার, রবি নাইয়া এবং সমরেশ মুইন্দা।
ট্রলারসহ আটক জেলেদের বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিন চব্বিশ পরগনা ও হুগলি জেলায় বিভিন্ন গ্রামে বলে জানায় আটককৃত জেলেরা।
মংলা থানার সেকেন্ড অফিসার (এসআই) মঞ্জুর ইলাহী বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানায়, বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর জাহাজ বানৌজা মেঘনা বঙ্গোপসাগরে টহলকালে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় ফেয়ারওয়ে বয়ার পশ্চিম পাশে দেশীয় জলসীমায় ভিনদেশী একটি ফিশিং ট্রলারের সন্দেহজনক গতিবিধি দেখতে পেয়ে তাদের ধাওয়া করে।
পরে তাদের আটক ও জিজ্ঞাসাবাদের পর নৌ-বাহিনী নিশ্চিত হয় এফবি প্রশেনজিৎ নামে ভারতীয় ফিশিং ট্রলারে থাকা আরোহীদের সবাই ভারতীয় নাগরিক। তারা অবৈধভাবে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ শিকার করছিল।
আটকের পর প্রথমে তাদের বাগেরহাটের মংলাস্থ দিগরাজ নৌঘাটিতে এবং পরে মংলা থানায় সোপর্দ করা হয়।
এ ঘটনায় নৌবাহিনীর টহল জাহাজ বানৈজা মেঘনার পিও এম আই খলিল বাদী হয়ে অবৈধ প্রবেশ ও মাছ চুরির অভিযোগ এনে মংলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আটককৃত জেলেদের শনিবার (২৯ মার্চ) আদালতে হাজির করবে পুলিশ।