বাগেরহাটের ফকিরহাটে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী জমিদার বাড়ির দূর্গা মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে দূর্বৃত্তরা।
শুক্রবার ভোরে অথবা বৃহস্পতিবার রাতের কোন এক সময় দূর্বৃত্তরা মন্দিরটিতে আগুন দেয়।
মন্দিরের পুরোহিত প্রদীপ ভট্টাচার্য্য জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে মন্দিরের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় মন্দির থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলি দেখে তিনি আশপাশের লোকজনকে খবর দেন।
“পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানো হয়।”
ভাংচুর এবং আগুনের ঘটনায় মন্দিরের দূর্গা, অসুর, সিংহ, মহিষ, লক্ষ্মী, স্বরস্বতী, কার্তিক গনেশসহ অন্য কয়েকটি প্রতিমা ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মন্দিরটি ফকিরহাট উপজেলার টাউন নওয়াপাড়া এলাকার জমিদার শৈলেন্দ্রনাথ ঘোষ (বীর বাহাদুর) তার বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে জানান মন্দিরের আরেক প্রবীণ পুরোহিত রবীন ভট্টাচার্য্য।
মন্দিরটি শতবছরের প্রাচীন বলে জানিয়ে তিানি বলেন, দেশভাগের আগে এই তল্লাটের জমিদার শৈলেন্দ্রনাথ ঘোষ স্বপরিবারে দেশত্যাগ করলেও আমরা এখনো মন্দিরে পূজা অর্চনা চালিয়ে আসছি।
খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. নিজামুল হক মোল্লা এবং পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
ফকিরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, রাতের আধারে কে বা কারা মন্দিরে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। এব্যাপারে থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. নিজামুল হক মোল্লা বাগেরহাট ইনফোকে বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করি দুর্বৃত্তদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
এদিকে, একই সময়ে পাশ্ববতী চামারিয়া মন্দ্রিরে হামলা চালিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
মন্দ্রিরের প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা অনতিবিলম্বে দোষী ব্যাক্তিদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেছেন।
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।