বাগেরহাটের ফকিরহাটে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সরদার নিয়ামত হোসেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাহি রাজিউন)।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকার বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বাগেরহাট ইনফোকে জানান, সরদার নিয়ামত হোসেন ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচনের দিন শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তার দলের দু’জন কর্মীকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। এ নিয়ে নিয়ামত হোসেন সঙ্গে বিজিবি সদস্যদের বাক-বিতণ্ডা হয়।
একপর্যায়ে তাকে আটক করে নিয়ে যায় বিজিবি। এসময় ব্যালট বাক্স ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।
পরে ১০ মার্চ স্থগিত ওই কেন্দ্রে পুনঃরায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলে নিয়ামত হোসেন পরাজিত হন। এরপর ১২ মার্চ তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে খুলনার একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রোববার তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকার বঙ্গবন্ধু মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সকালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ফকিরহাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি স্বপন দাস এই মৃত্যুকে হত্যাকান্ড উল্লেখ করে বুধবার অর্ধদিবস ফকিরহাট উপজেলায় হরতালের ঘোষনা দিয়েছে।
এছাড়া আজ কালো ব্যাজ ধারন, কালো পতাকা উত্তোলন ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে। এদিকে ফকিরহাটে এই খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুদ্ধরা বাগেরহাট-মাওয়া মহাসড়কে গাছের গুড়ি ফেলে ও টায়ারে আগুন দিয়ে সড়ক অবরোধ করে। এ সময়ে সকল দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।