চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ফলাফলে বাগেরহাটে ৫টি উপজেলায় আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা বেসকারীভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
স্ব স্ব উপজেলার সহকারী রিটার্নিং অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এসব উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ীরা হলেন- বাগেরহাট সদরে আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থী খান মুজিবর রহমান, রামপালে আ’লীগ সমর্থিত সেখ আবু সাঈদ, মংলায় আ’লীগ সমর্থিত আবু তাহের হাওলাদার, মোড়েলগঞ্জে আ’লীগ সমর্থিত শাহ-ই-আলম বাচ্চু ও শরণখোলায় আ’লীগ সমর্থিত কামাল উদ্দিন আকন।
শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এসব উপজেলায় চলে ভোট গ্রহণ।
যদিও দুপুরে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে কারচুপির অভিযোগে মংলা ব্যতিত বাকী চার উপজেলা নির্বাচন বর্জন করে পূন:নির্বাচনের দাবিতে হরতার আহ্বান করেছে।
বাগেরহাট সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী খাঁন মুজিবর রহমান (আনারস প্রতীক) ৬৬ হাজার ৯২ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী সৈয়াদ নাসির আহম্মেদ মালেক (দোয়াত-কলম) ২৪ হাজার ৩২১ ভোট পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে সরদার মাসুদুর রহমান টিউবয়েল প্রতীকে ৩৫ হাজার ৯৮৬ ভোট পেয়ে এবং পারভীন আহমেদ প্রজাপতি প্রতীকে ৫৯ হাজার ৯৬৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত সদর উপজেলায় ৮৭টি কেন্দ্রের ভোট গননা শেষে বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নীং অফিসার এ এফ এম এহতেশামুল হক ফলাফল ঘোষণা করেন।
রামপাল উপজেলায় আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী সেখ আবু সাঈদ (দোয়াত-কলম) ৪৪ হাজার ৩১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী জুলফিকার আলী (আনারস) পেয়েছেন ১৭ হাজার ৩৪৮ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন ৪৪ হাজার ৭১৭ ভোট পেয়ে এবং মহিল ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোসাম্মৎ হোসনে আরা ৪১ হাজার ৬২৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
উপজেলায় ১০টি ইউনিয়নের ৮৭ টি কেন্দ্রের ভোটের ফলাফলে রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নীং অফিসার সুব্রত কুমার সিকদার এ ফল ঘোষণা করেন।
মংলা উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আবু তাহের হাওলাদার (চিংড়ি মাছ) ৩৫ হাজার ৫৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মোল্লা আব্দুল জলিল (ঘোড়া) পেয়েছেন ১৬ হাজার ৩২৯ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামায়াতের মো. কহিনুর সরদার উড়োজাহাজ প্রতীকে ১৬ হাজার ৬৭১ ভোট পেয়ে এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কামরুন নাহার হাই কলস প্রতীকে ২৫ হাজার ৫১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
উপজেলার ৪৮টি ভোটকেন্দ্রের ফলাফলে মংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নীং অফিসার মিজানুর রহমান তিনটি পদে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন।
মোরেলগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী এ্যাড. শাহ-ই-আলম বাচ্চু (দোয়াত কলম) ৭৬ হাজার ৯৭৭ ভোট পেয়ে বেসরকরীভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আব্দুল মজিদ জব্বার(আনারস) পেয়েছেন ১৪ হাজার ৮৮২ ভোট।
১৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত উপজেলার ১০৯ টি ভোটকেন্দ্রের ভোট গনানা শেষে মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নীং অফিসার মো. আব্দুল হালিম এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে এস এইচ এম সাবুল আক্তার চশমা প্রতীকে ৭৭ হাজার ৭৪২ ভোট পেয়ে এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আজমিন নাহার কলস প্রতীকে ৭৪ হাজার ১৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোট কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেয়া, ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে বেলা সাড়ে ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
শরণখোলা উপজেলায় আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থী কামাল উদ্দিন আকন (আনারস) ২৭ হাজার ৬২৯ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মতিয়ার রহমান (ঘোড়া) পেয়েছেন ৮ হাজার ১৪৪ ভোট পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. হাসানুজ্জামান চশমা প্রতীকে ২২ হাজার ৫৭১ ভোট পেয়ে এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোসাম্মৎ রাহিমা আক্তার হাসি কলস প্রতীকে ২৩ হাজার ৬৯০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
উপজেলার ২৮টি ভোটকেন্দ্রের ফলাফলে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নীং অফিসার কে.এম মামুন উজ্জামান তিনটি পদে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন।
তবে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী খান মতিয়ার রহমান সকাল ১১টায় উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের মঠের পাড় বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।