নির্বাচন বর্জন করে বাগেরহাটের চারটি উপজেলায় রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে জেলা বিএনপি।
শনিবার বিকলে জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সালামের শহরের সরুই এলাকার তার বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচন স্থগিত করে পূণ:নির্বাচনের দাবীতে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নির্বাচনের ৪/৫ দিন আগে থেকেই আওয়ামী লীগ দলীয় সন্ত্রাসীরা পাঁচটি উপজেলার বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর কর্মীদের মারধর করেছে। চার উপজেলার নেতাকর্মীদের অসংখ্য ঘরবাড়ি ভাংচুর করেছে। শুক্রবার রাতে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কেন্দ্রে না আসতে হুমকি দিয়েছে।
এসময় ভোটকেন্দ্র থেকে তাদের সমর্থিত প্রার্থীদের এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়া, ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়া এবং প্রকাশ্যে ব্যালট পেপারে সিল মারার অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে।
তাই নির্বাচন কমিশনের কাছে বাগেরহাটের শরণখোলা, রামপাল, মোরেলগঞ্জ ও বাগেরহাট সদর উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করে পূণ:রায় ভোট গ্রহণের দাবী জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির সহসভাপতি অ্যাড. ওয়াহিদুজ্জামান দিপু, সাধারন সম্পাদক আলী রেজা, পৌর বিএনপির সভাপতি শেখ শাহেদ আলী, বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ নাছির আহমেদ, রামপাল উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাফিজুর রহমান প্রমূখ।
এ সময় সদর উপজেলা ১৯ দলীয় জোটের সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ নাসির আহমেদ মালেক(দোয়াত-কলম) উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলায় একটি কেন্দ্র ব্যতিত কোথাও তাদের এজেন্ট ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
শনিবার জেলার মোড়েলগঞ্জ, শরণখোলা, রামপাল, মংলা ও বাগেরহাট সদর এই ৫ উপজেলায় নির্বাচন অনু্ষ্ঠিত হয়।