চাঁদার দাবিতে বাগেরহাটের মংলায় সাংবাদিকের মালিকানাধিন জালি বোটে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও চালককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার সকালে মংলার ফেরিঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত বোটের চালক সম্রাটকে (২০) মংলা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আহত সম্রাট বাগেরহাট ইনফোকে জানান, তিনি সাংবাদিক আহসান হাবিব হাসানের মালিকানাধিন বোটে ৭ বছর ধরে কাজ করছেন। কয়েকদিন ধরে যন্ত্রচালিত মাঝি মাল্লা ইউনিয়নের সেক্রেটারী মীর হাশেমের মেঝো ছেলে মো. কামাল (২৫) আমার (সম্রাট) কাছে চাঁদা চেয়ে আসছিলো। বুধবার সকালে পুন:রায় চাঁদা দাবি করলে আমি দিতে অস্বীকার করি। এসময় তিনি (কামাল) আমার ও জালিবোটের উপর চড়াও হয়।
সম্রাট বলেন, কামাল একপর্যায়ে আমাকে লোহার রড দিয়ে পিটাতে শুরু করে। আমার কাছে থাকা ৩দিনের বোটভাড়া এবং মালামাল কেনার জন্য মোট ১৭হাজার ৭শ’ টাকাসহ ২টি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এরপর আর আমার কিছু মনে নেই।
এব্যাপারে সাংবাদিক আহসান হাবিব হাসান কামালকে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ উল্লেখ করে বলেন, হামলার খবর পেয়ে অচেতন অবস্থায় সম্রাটকে আমরা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, কামাল আমার (আহসান হাবিব হাসান) এমভি শোভন জালি বোট ভাংচুর করেছে। এর আগেও আমি তার (কামাল) গ্যাংদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। কিস্তু এরা ক্ষমতাশীল একটি গ্রুপের ছত্রছায়ায় থাকায় বারবার পার পেয়ে যাচ্ছে।
মংলা উপজেলা হাসপাতালের সহকারী নার্স বিপুল চন্দ্র মৃধা বুধবার বিকালে জানান, সম্রাটের অবস্থা গুরুতর। তার সারা শরীর বেশ কিছু গুরুতর যখমের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া তার মুখের চোয়াল লড়ে গেছে এবং একটি দাঁত পড়ে গেছে।
মুখের ভিতর ভয়াবহ কেটে গেছে। তিনটি সেলাই দেওয়া সম্ভব হলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় নিতে হবে বলে জানান তিনি।
মংলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ব্যাপারে সম্রাট বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।
তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মো. কামাল হোসেন সাথে বহু চেষ্টা করেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নি।