১৫ মার্চ বাগেরহাটের পাঁচ উপজেলায় নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ২৪ ঘন্টায় শাসক আওয়ামী দলীয় সশস্ত্র নেতা-কর্মীরা বিএনপিসহ ১৯ দলীয় জোটের শতাধিক নেতা-কর্মীকে কুপিয়ে ও মারপিট করে আহত করেছে বলে দাবি করেছে বিএনপি।
বুধবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে আয়জিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সালাম।
লিখিত অভিযোগে তিনি দাবি করেন, বাগেরহাটের সদর, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, রামপাল ও মংলা এই পাঁচটি উপজেলায় ১৯ দলীয় জোট সমর্থক নেতা-কর্মীদের প্রচার কাজে বাধা, নির্বাচনী আচারণ বিধি লংঘন করে মোটরসাইকেলের মহড়া দিয়ে সাধারণ ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন, পোষ্টার ছিড়ে ফেলছে আ’লীগ দলীয় লোক জন। তবে এসব ঘটনায় রিটার্নিং অফিসারকে জানানো হলেও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি।
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নেতৃবৃন্দ জানান, উপজেলা নির্বাচনে আ’লীগের দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সরকারী দল, প্রশাসন ও আইন-শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করছে। এমনকি এই উপজেলা গুলোতে ১৮/১৯ টি অস্থায়ী ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের অফিস নির্মান করা হয়েছে। আর বিভিন্ন স্থানে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা রাতের আধারে এই অফিসগুলোতে আগুন দিয়ে অজ্ঞাত সংখ্যাক বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের ঢালাওভাবে আসামী দিয়ে মামলা করছে।
এছাড়া গ্রামের গ্রামে মারপিট, হামলা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করা হচ্ছে। হামলা, মামলা আর হুমকি ধামকির কারণে জেলা বিএনপির অধিকাংশ নেতা-কর্মী রাতে বাড়ী ছাড়া থাকছেন। আর এ সকল অভিযোগ জেলা প্রশাসন, নির্বচনী কর্মকর্তা ও আইন-শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়েও কোন ফল না পেয়ে বিএনপি এখন সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিকার দাবী করছেন বলে তারা সাংবাদিকদের জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলী রেজা বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাফ্ফর রহমান আলম, ছাত্রদলের সভাপতি সুজা উদ্দিন মোল্লা সুজন, বিএনপি নেতা মো. নেওয়াজ হোসেন শৈবাল প্রমূখ।