শারমিন আক্তার (১৬)। এবয়সে কৈশরের দুরন্তপানায় মেতে থাকার কথা থাকলেও এখন সে বিছানায় বন্দি। লেখাপড়া করে বড় হয়ে দরিদ্র পরিবারের হাল ধরার স্বপ্ন ছিল শারমিনের। কিন্তু এখন সে নিজেই পরিবারের কান্না।
৭ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ার পর অসুস্থতার জন্য লেখাপড়া বন্ধ রয়েছে তিন বছর ধরে। হৃদপিণ্ডের (হার্টের) বাল্বে ছিদ্র ধরা পড়েছে তার। জরুরি ভিত্তিতে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এজন্য দরকার প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকা। দরিদ্র পরিবারটির পক্ষে ব্যয় করা সম্ভব নয় এতো টাকা।
মংলা পৌরসভার বাতেন সড়কে দিনমজুর আমির হোসেনের পরিবারের দুই মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে বড় মেয়ে শারমিন।
আমির হোসেন বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, অসুস্থতার কারণে প্রায় তিন বছর ধরে স্কুলে যেতে পারছে না শারমিন। মংলা-খুলনায় অনেক চিকিৎসা করেও কোনো রোগ ধরা পড়ছিলো না শারমিনের। তাই এই ওষুধ সেই ওষুধের পাশা পাশি চলে ঝাঁড় পোকও। তাতে অবস্থা আরো বেগতিক হতে থাকে শারমিনের।
প্রায় আড়াই মাস আগে খুলনার আবু নাসের হাসপাতালে ধরা পড়ে তার হার্টের বাল্বে ছিদ্র হয়ে গেছে।
সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় ঢাকায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে। সেখান থেকে বলা হয়েছে অপারেশনের কথা।
কান্না জড়িত কন্ঠে আমির হোসেন বলেন, ধার-দেনা করে তার সাধ্যমতো মেয়েকে এতদিন চিকিৎসা করিয়েছেন তিনি। এখন আর তার সামর্থ নেই। আরেক মেয়ে ও ছেলের লেখাপড়া চালিয়ে নিতে খরচ যোগাড় করতে পরছেন না তিনি।
তাই সন্তানের চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান লোকদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন তিনি।
অর্থের অভাবে চিকিৎসা শেষ না করেই ঢাকা থেকে শারমিনকে বাড়িতে ফিরিয়ে এনেছে তার পরিবার। বিছানায় কাতর সারমিন বেঁচে থাকার আকুতি জানিয়ে বলে, আমি বাঁচতে চাই। আমি আবার লেখাপড়া করতে চাই। পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে চাই।
শারমিনকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা-
আমির হোসেন, অ্যাকাউন্ট নম্বর- এস/বি-৬৮১৭, উত্তরা ব্যাংক লিঃ, মংলা, বাগেরহাট।
মুঠোফোন- ০১৭১৪ ৮০৭ ৮৭৭।