মংলা বন্দর এলাকায় ইজারা দেওয়া প্লটের খাজনা বৃদ্ধি এবং বিতর্কিত কিছু বিষয় নিয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বন্দর এলাকায় দোকান পাট বন্ধ রেখে প্রতিবাদ সভা করেছে ব্যবসায়ীরা।
রোববার বিকারে শহরের শফিউল্লা সড়কে পুরাতন মংলা বন্দর ব্যবসায়ী জোটের উদ্যোগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। তবে সভা শুরু হবার আগে দুপুর থেকেই সকল দোকান পাট বন্ধ করে দেয় ব্যবাসায়ীরা।
ব্যবসায়ী কল্যাণ পরিশোধের যুগ্ম আহবায়ক নূরুল আমীনের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় প্রধাণ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মংলা-রামপাল ৩ আসনের সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যবসায়ী কল্যাণ পরিষদের আহবায়ক মো. শাহ জাহান শিকারীসহ অনেকে।
সভায় বক্তারা বলেন, বণিক সমিতি ও ব্যবসায়ীদের সাথে কথা না বলেই বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি সভার মাধ্যমে হঠাৎ করে খাজনা বৃদ্ধি করেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, “১৯৫০ সালের ১১ ডিসেম্বর শুরুর পর থেকে দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মংলায় শ্রমিক ও নাবিকদের খাদ্য যোগাড়ের জন্য মংলা বাজার গড়ে ওঠে। সেই সময়ে বন্দরের কাছ থেকে বরাদ্দ পাওয়া প্লট মালিকরা ব্যবসার জন্য একের পর এক ডোবা ও জলাশয়পূর্ণ ভূমিতে বিনিয়োগ করে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে ভবন/ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করে।”
তারা বলেন, প্রতি বর্গফুট জায়গার ৬ টাকা হারে খাজনা পরিশোধ করে আসছেন তারা। কিন্তু সম্প্রতি বন্দর কর্তৃপক্ষের ২১৭ তম সাধারণ বোর্ড সভায় ২৬৮৭ নং সিদ্ধান্তে বর্তমানে খাজনার পরিবর্তে ভাড়া শব্দ ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া সিদ্ধান্তে প্লটের ভাড়া ৬ টাকার স্থলে ১২ টাকা করেছেন কর্তৃপক্ষ।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, এ ভাড়া প্রতি দুই বছরে ১০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে। যা মংলা বন্দরের ব্যবসায়ীদের স্বার্থে বড় ধরনের আঘাত আনবে।
তাই তারা বন্দরের এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের আহবান জানান। অন্যথায় বন্দরে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকিদেন ব্যবসায়ী নেতারা।