স্কুলছাত্র হত্যা মামলায় বাগেরহাটে দু’জনকে মৃত্যুদণ্ড ও দু’জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
মামলার প্রায় দেড়যুগ পর রবিবার দুপুরে জনাকীর্ন আদালতে বাগেরহাটের জেলা ও দায়রা জজ এস এম সোলায়মান এই রায় প্রদান করেন।
মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন- বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া গ্রামের মতু হাওলাদারের ছেলে ফুলমিয়া হাওলাদার ও মফেজ মল্লিকের ছেলে শহিদুল মল্লিক।
এছাড়া যাবজ্জীবন দন্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন- একই এলাকার মৃ. আব্দুল আজীজ হাওলাদারের ছেলে আলী আকবর হাওলাদার ও আইয়ুব আলী হাওলাদারের ছেলে মনিরুজ্জামান ওরফে মনিরুল। তবে, আসামীদের সকলেই পলাতক রয়েছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারী গভীর রাতে আসামীরা মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া গ্রামের এলাল উদ্দিনের স্কুল পডুয়া পুত্র বাদলকে তার রুমের ভিতরে ঢুকে জবাই করে হত্যা করে। ওই রাতে রুমে দাপানির শব্দ পেয়ে বাদলের পিতা এলাল উদ্দিন ও তার মা দ্রুত ঘরের দরজা খুলে ফুলমিয়াসহ অন্য আসামীদের চলে যেতে দেখে। পরে বাদলের রুমে গিয়ে তার জবাই করা লাশ দেখে এলাকাবাসীকে খবর দেয়।
এই ঘটনায় ওই দিন সকালে মোড়েলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এই মামলায় পরবর্তী বছরের (১৯৯৯ সাল) ১২ সেপ্টেম্বর মোড়েলগঞ্জ থানার এসআই শেখ রহমত হোসেন ২ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট দাখিল করে।
পরে আদালত মামলাটির অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডির উপর দায়িত্ব দেয়। অধিকতর তদন্ত শেষে সিআইডি পুলিশের খুলনার সহকারী পুলিশ সুপার মো. খোসরুল হক ২০০১ সালের ১৯ মার্চ ৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র (চার্জশীট) দাখিল করেন।
মামলার দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে বিজ্ঞ আদালত এ রায় প্রদান করেন। একই সাথে আদালত যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ প্রাপ্ত আলী আকবর হাওলাদার ও মনিরুজ্জামান ওরফে মনিরুলকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বছর সশ্রম কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি শেখ মোহম্মদ আলী এবং আসামিপক্ষে ছিলেন গোলাম মোর্তুজা সোহেল আহমেদ।
এদিকে, একই আদালাত এদিন দুপুরে মংলা উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে আব্দুস সালাম ফরাজী নামের এক ঘরজামাইকে ৭ বছরের স্বশ্রম কারাদন্ডাদেশ ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে।
অভিযুক্ত আব্দুস সালাম ২০০২ সালের ১৮ ডিসেম্বর মংলার সাত্তারলেনের বাসিন্দা মো হাফেজ উদ্দিনের কন্যা ৪ সন্তানের জননী মিলুয়ারা বেগমকে হত্যা করে। এই ঘটনায় মংলা থানা পুলিশ প্রথমে ফাইনাল রিপোর্ট দিলেও পরে সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক আফসার উদ্দিন গাজী অধিকতর তদন্ত শেষে আব্দুস সালামকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট দাখিল করে।
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।