বাগেরহাটের মংলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচটি দোকান ভষ্মিভূত হয়েছে। তবে এসময় কেউ হতাহত হয় নি।
বৃহষ্পতিবার রাতে উপজেলার মিঠাখালী বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলো হলো- হালিম ব্যাপারীর মুদি দোকান, জাকির হোসেনের ইলেকট্রনিকের দোকান, জাহিদ হোসেনের জুতার দোকান এবং আব্দুল হাই ও পল্লী চিকিৎসক গোলাম মোস্তফা এর ওষুধের দোকান।
বৈদ্যুতিক সটসার্কিটের থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করছে দমকল বাহিনী।
স্থানীয়রা জানায়, বাজারের দোকান বন্ধ হয়ে যাবার পর রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে হালিম ব্যাপারীর মুদি দোকানে আগুন জ্বলতে দেখতে পান তারা। আগুন দেখে স্থানীরা ছুটে আসে এবং পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ততক্ষণে পাশের আরও ৪-৫টি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে পাঁচটি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের বরাত দিয়ে মংলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার এস.এম সাহেব আলী জানান, বৃহষ্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মিঠাখালী বাজারের হালিম ব্যাপারীর মুদি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।
এতে পাশের আরও ৪টি দোকানে আগুন ছড়িয়ে স্থানীয়দের সহযোহিতায় ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রায় পৌঁনে এক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনে। এঘটনায় বাজারের ৫টি দোকানের মালামাল সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, আগুনে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন পুড়ে যাওয়া দোকান মালিকেরা। বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
এদিকে, আগুন লাগার ঘটনায় দির্ঘ্য ক্ষন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল উপজেলার মিঠাখালীসহ বিভিন্ন এলাকা।
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।