বাগেরহাটের চিতলমারী অবৈধ ভাবে নদীতে বাঁধ দিয়ে চলছে মাছ শিকার। ফলে নাব্যতার অভাবে নৌযান চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে নদী। সেই থাকে সেচ সংকটে পড়েছেন চলতি বোরো মৌসুমে চাষীরা।
মাইলের পর মাইল নদীতে বাঁধের সৃষ্টি হওয়ায় সেচ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বিঘ্ন হচ্ছে নৌ যান চলাচলে। এমনই অবস্থা জেলার চিতলমারী উপজেলার নালুয়া বাজারসংলগ্ন মধুমতী থেকে উঠে আসা শাখা নদীতে।
জানান গেছে, প্রভাবশালী একটি মহলের ইন্ধনে চলছে এ বে-আইনী কর্মকান্ড।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, মাছের লোভে এলাকার কতিপয় স্বার্থান্বেষী ও ক্ষমতাধর লোকজন বে-আইনী ভাবে এ সব নদী সেচ দিয়ে মাছ শিকার করছে। জাতীয় ও জনস্বার্থ বিঘ্নিত করে হাজার হাজার টাকার মাছ বিক্রি করে তারা নিজেদের পকেট ভারী করছে।
অভিযোগ উঠেছে, এ ভাবে সেচ দিয়ে মাছ শিকারের ফলে ব্যাপক ভাবে নিধন হচ্ছে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছ।
পাশাপাশি কোন প্রকার নৌ যান চলাচল করতে পারছে না। এ অবস্থায় সেচ পানির চরম সংকটে পড়েছেন এলাকার বোরো চাষীরা।
অনুসন্ধানে জানান গেছে, এ বিষয় এলাকাবাসী ভোগান্তির শিকার হলেও প্রভাবশালী মহলের ভয়ে প্রতিবাদ করতে সাহসী হচ্ছে না।
এব্যাপারে ক্ষমতাসীন দলেন যুব সংগঠনের এক নেতা সরকারী অনুমতি বা ইজারা না নিয়ে মাছ শিকারের বিষয়টি স্বীকার করলেও এড়িয়ে গেছেন অনেক প্রভাব বিস্তারের কথা।
এবিষয়ে চিতলমারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা গৌতম মন্ডল জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ ধরণের কাজ বন্ধ ব্যাবস্থা গ্রহান করা হবে।