মানবজাতিসহ পৃথিবীর অন্যান্য সকল প্রাণীও কোন না কোন ভাবে উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল। খাদ্য, বস্ত্র, ঔষধ উৎপাদন, বাসস্থান তৈরী, প্রাকৃতিক ভারসম্য রক্ষা, শিণ্প ক্ষেত্র, পশু পালন, মৎস্য চাষ, ভূমি ক্ষয় রোধ ও বন্যা নিয়ন্ত্রনে উদ্ভিদের ভূমিকা অপরিসীম। বিভিন্ন পরিবেশে জীবিত উদ্ভিদ প্রজাতির সংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখের মত।
থানকুনি
আমাদের দেশের খুব পরিচিত ভেষজগুণ সম্পন্ন একটি পাতা হচ্ছে থানকুনি পাতা।
এর ল্যাটিন নাম centella asiatica। থানকুনি পাতা বাংলাদেশের সবজায়গায় জন্মায়। বাসা-বাড়ির সৌন্দর্য অংশ হিসেবে অনেকে আবার টবে রোপণ করে থাক এই পাতা। এছাড়া থানকুনি পাতা দিয়ে তৈরি করা যায় সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার।
থানকুনি পাতার রয়েছে নানা ভেষজগুণ। যেমন- নিয়মিত থানকুনি পাতার রস খেলে ত্বক ও চুল সুন্দর থাকে। জ্বর, পেটের পীড়া, আমাশয়, আলসার, বাতসহ অনেক রোগের ওষুধ হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়। মুখের ভিতরে ঘা হলে থানকুনি পাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে কুলি করলে ঘা কমে যায়। বাচ্চাদের কথা স্পষ্ট না হলে প্রতিদিন এক চামচ থানকুনি পাতার রস গরম করে খাওয়ালে কথা স্পষ্ট হয়।
এছাড়া ঠাণ্ডা-কাশি হলে ১ টেবিল চামচ থানকুনির রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। যাদের স্নায়ুতন্ত্র দুর্বল, তারা নিয়মিত থানকুনি পাতা খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
– তথ্য সূত্র- ইন্টারনেট।