শিশু জন্মানোর পর তাকে আদর করার জন্য, একবার দেখার জন্য আমরা উদগ্রীব হয়ে থাকি। তবে অনেক সময় সচেতনতার অভাবে নবজাতকের সঠিক যত্ন নিতে আমরা ব্যর্থ হই। শিশুর জন্মের পর মা অসুস্থ থাকে। তাই এ সময়ে পরিবারের নির্ভরযোগ্য কাউকে দায়িত্ব নিতে হবে। যিনি এ বিশেষ দায়িত্ব পালন করবেন। জেনে নিন কী কী করতে হবে তাকে। পরামর্শ দিয়েছেন নিবেদিতা হাসপাতালের শিশু-বিশেষজ্ঞ শরিফুল আলম।
অনেক অপেক্ষা আর কষ্ট সহ্যের পর মা যখন প্রথম সন্তানের মুখ দেখেন, তখন তার সব কষ্ট দূর হয়ে যায়। পরিবারের সবাই, আত্মীয়, বন্ধু আনন্দে বরণ করে নেয় শিশুটিকে। আজকাল মা এবং শিশুর জীবন ঝুঁকিমুক্ত রাখতে মাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। শিশুর জন্মের পরবর্তী ২৮ দিন পর্যন্ত তাকে নবজাতক বলা হয়।
নবজাতকের যত্নে
- * নবজাতকের নাক-মুখ পরিষ্কার রাখতে হবে সবসময়।
* শিশুকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মায়ের শালদুধ দিতে হবে এবং বুকের দুধ খাওয়ানো শুরু করতে হবে।
* নাভি শুকনা ও খোলা রাখুন।
* দিনের বেশিরভাগ সময় শিশু ঘুমিয়ে কাটায়। এ সময় নবজাতকের শরীরের তাপমাত্রা লক্ষ রাখতে হবে।
* শিশুকে নতুন কাপড় পরানো যাবে না। সুতির নরম কাপড় দিয়ে পোশাক তৈরি করে ধুয়ে পরাতে হবে।
* শিশুর ব্যবহারের সবকিছু প্রতিদিন সাবান ও স্যাভলন দিয়ে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে ব্যবহার করুন।
* নবজাতকে ধরার আগে অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।
* ঘুমের সময় শিশুকে কোলে না রেখে বিছানায় শুইয়ে দিন।
* শিশুকে প্রতিদিন সকালের রোদে কমপক্ষে আধা ঘণ্টা রাখুন।
* শিশুর জন্য মায়ের বুকের দুধই যথেষ্ট। পানি বা অন্য কোনো খাবার দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।
* শিশুর শরীরে তেল দেওয়া যাবে না।
* শরীরের বিভিন্ন ভাঁজে গরমে ঘামাচি হওয়া এড়াতে পাউডার দিয়ে দিন।
* শিশুকে পরিষ্কার করার জন্য ওয়েট টিস্যু ব্যবহার করুন।
* শিশুর বিছানা পরিষ্কার রাখুন।
* বাইরে থেকে ফিরে শিশুকে ধরবেন না। নিজে আগে ভালমত পরিষ্কার হয়ে নিন।
* শিশুকে সময়মতো টিকা দিন।
* ডাক্তারের পরামর্শ মত শিশুর পরিচর্যা করুন।
* সব ধরনের কুসংস্কার থেকে দূরে থাকুন।
* একটি শিশুকে লালন-পালনে মায়ের মত বাবারও দায়িত্ব আছে। সেদিকে সচেতন হন।
সবার ভালোবাসা, সুস্থতা, সুস্থ মানসিকতা, ধর্মীয় অনুভূতি এবং দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে বেড়ে উঠুক আমাদের সোনামণি।