আমাদের অত্যন্ত পরিচিত একটি ফল বেল। বেলের পুষ্টিগুন অন্যান্য ফলের চেয়ে অত্যন্ত বেশি। বেলের শরবত কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করে। প্রতিদিন বেলের শরবত পান করলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয় । বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিদিনের শারীরিক পরিশ্রেমের পর একগ্লাস বেলের শরবত সারাদিনের ক্লান্তি প্রশমন করে।
এই ঋতুর ফলগুলোর মধ্যে বেল অন্যতম। পাইলস, অ্যানাল ফিস্টুলা, হেমোরয়েড (এসব মলদ্বারের রোগ) রয়েছে, এমন রোগীদের জন্য বেল উপকারী ফল। এই বেল বলতে কতবেল নয়, বড় সাইজের বেলকে বোঝানো হয়েছে। ভিটামিন ‘সি’ এবং ‘এ’-র পর্যাপ্ত পরিমাণ রয়েছে এই ফলে।
বেলের ভিটামিন ‘সি’ দেহের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাকে করে শক্তিশালী; বসন্ত ও গ্রীষ্মকালীন ছোঁয়াচে রোগগুলোর বিরুদ্ধে করে যুদ্ধ। বেলের বীজগুলো পিচ্ছিল ধরনের। এমন হওয়ার জন্য এই ফল পাকস্থলীতে (আমাদের শরীরের যেখানে খাবার জমা থাকে) উপকারী পরিবেশ তৈরি করে, খাবার সঠিকভাবে হজম হয়, পরিণামে দূর হয় কোষ্ঠকাঠিন্য।
দীর্ঘ বছরের কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে ক্ষতিকর নানা রকম অসুখ তৈরি হয়। বেল নিয়মিত খেলে এ সমস্যা দূর হয়।
এই ফলে ন্যাচারাল ফাইবার বা আঁশের পরিমাণও অনেক বেশি। আঁশযুক্ত শাকসবজি বা ফল হজমশক্তি বাড়িয়ে, গ্যাস-এসিডিটির পরিমাণ কমায়, দূর করে কোষ্ঠকাঠিন্য। ফলে হজমে সমস্যা দূর হয়। ত্বকের ব্রণ ভালো করে বেল। তবে শুধু বেল খেলে চলবে না, ব্রণ ভালো হওয়ার জন্য খেতে হবে প্রচুর পানি, পুষ্টিকর খাবার, সেই সঙ্গে প্রয়োজন ত্বকের পরিচর্যা।
বেলের ভিটামিন ‘এ’ চোখের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোকে পুষ্টি জোগায়। যারা নিয়মিত বেল খায়, তাদের কোলন ক্যানসার , গ্লুকোমা, জেরোসিস, জেরোপথ্যালমিয়া (এগুলো চোখের অসুখ) হওয়ার প্রবণতা থাকে তুলনামূলকভাবে কম।
ইন্টারনেট অবলম্বনে।