বাড়ছে গরমের তীব্রতা। আর এই তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই বিভিন্ন বোতলজাত কোমল পানীয় এবং এনার্জী ড্রিংকস হাতে তুলে নিচ্ছে। অনেকে আবার অবাধে রাস্তার খোলা পরিবেশে বানানো বেল ও লেবুর শববতের গ্লাসে চুমুক দেন। কিন্তু কম দামে সবচেয়ে নিরাপদ কোমল পানীয় ডাবের পানি হয়তো অনেকেই এড়িয়ে যাচ্ছি। শুধু তৃষ্ণা মেটাতে নয় এর পুষ্টিগুণ সর্বজন স্বীকৃত।
ডায়ারিয়া বা যেকোনো ধরনের পানি স্বল্পতা পূরণে খাবার স্যালাইনের পরিবর্তে ডাব পান করা যায়। দুধের পরেই এর অবস্থান। এছাড়া স্নায়ুবিক দুর্বলতা দূর করে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ডাবের পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য পুষ্টি। এতে পটাশিয়াম আছে প্রচুর পরিমাণে।
এতে পানির পরিমাণ প্রায় ৯৪ শতাংশ। তাই ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায়, পুরো দেহের শিরা-উপশিরায় সঠিকভাবে রক্ত চলতে সাহায্য করে। কারণ, পানি বেশি পান করলে কিডনির কাজ করতে সুবিধা হয়, দেহে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বাড়ে, ত্বকসহ প্রতিটি অঙ্গে পৌঁছায় বিশুদ্ধ রক্ত। ফলে পুরো দেহ হয়ে ওঠে সতেজ ও শক্তিশালী। এতে কোনো চর্বি বা কোলেস্টেরল নেই। প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান থাকার জন্য বাড়ন্ত শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবার জন্য ডাবের পানি যথেষ্ট উপকারী। তারুণ্য ধরে রাখতে ডাবের পানি যথেষ্ট উপযোগী। এতে চিনির পরিমাণও থাকে অল্প।
তবে ডায়াবেটিসের রোগীদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রেখে ডাবের পানি খাওয়া উৎচিত। যাদের কিডনিতে পাথর হয়েছে বা ডায়ালাইসিস চলছে, এ ধরনের রোগীরা এই ফল না খওয়াই ভাল। কারণ, এতে রয়েছে উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম, যা কিডনি রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।
কিন্তু যারা সুস্থ মানুষ, তাদের কিডনির জন্য ডাবের পানি আশীর্বাদস্বরূপ। কিডনি দেহের ছাঁকন যন্ত্র। এই অঙ্গ শরীরের নোংরা ও ক্ষতিকর অংশগুলোকে দেহের বাইরে বের করতে সাহায্য করে। এই ফলে নেই কোনো ভিটামিন এ। তার পরও শরীরের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চমাত্রার ক্যালসিয়াম রয়েছে ডাবের পানিতে, যা হাড়কে করে মজবুত। সেই সঙ্গে জোগায় ত্বক, চুল, নখ ও দাঁতের পুষ্টি।
ইন্টারনেট অবলম্বনে।