চোখের সামনে পরিচিত একটি খাদ্য উপাদান রসুন। আমাদের দেশের খাবারে যার বহুল ব্যবহার মশলা হিসাবে।
অনেকেই হয়তো এর গুনাগুন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। রান্নার উপকরণের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও রসুনের জুড়ি নেই।
গবেষকরা বলছেন রসুন কেবল খাবারে সুঘ্রাণ ও স্বাদ দিয়েই ক্ষান্ত হয় না, রক্তে ক্ষতিকর এলডিএলের মাত্রা দারুণভাবে কমায়, আর উপকারী এলডিএলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
গবেষণা বলছে আপনি যত বেশি রসুন খাবেন ততই আপনার উপকার। রসুনকে একটি স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবেই চিহ্নিত করেন গবেষকরা। আর এর সঙ্গে সুঘ্রাণ ও সুস্বাদকে বাড়তি পাওনা হিসেবেই মনে করেন তারা।
রসুনের বৈজ্ঞানিক নাম- অ্যালিয়াম স্যাটিভাম (Allium sativum)।এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ১৭ টি এমাইনো এসিড ময়শ্চার, প্রোটিন, ফ্যাট, মিনারেল, ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট। ভিটামিন ও মিনারেলের মধ্যে আছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, থিয়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, এবং আয়োডিন, সালফার এবং ফ্লোরিনও আছে অল্প পরিমাণে।
স্বাস্থ্যের জন্য অত্যান্ত উপকারি হওয়ায় বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি রসুনকে ‘বিস্ময়কর ওষুধ’ নামে অভিহিত করেছেন।
গবেষকদের দাবি, যারা প্রতিদিন রসুন খেয়ে আসছেন তাদের হৃৎপিন্ড হার্ট অ্যাটাকের পর কম ক্ষতির সম্মুখীন হয় এবং হৃৎপিন্ডের অপারেশনের পর তারা দ্রুত সেরে ওঠেন।
রান্নার উপকরন হিসেবে রসুনের ব্যবহার আবহমান কাল থেকেই। শুধু রান্নায় স্বাদের তারতম্য আনার জন্য নয়, রসুনের পুষ্টিগুণও রসুনকে পৌঁছে দিয়েছে উপাদেয় মসলার তালিকায়। তাই রান্নার অনুষঙ্গের পাশাপাশি রসুন স্বাস্থ্য ভাল রাখার মন্ত্র হিসেবেও কাজ করছে।