• সুব্রত কুমার মুখার্জী ভৈরব-এর পাশের অংশের নাম দড়াটানা। স্থানীয় বয়স্করা বলে এ নদীটা নাকি কাটা। এক কালে খাল ছিল। পুটি মারির নোনা পানির স্রোতে নদী হয়েছে। আবার কেউ কেউ বলে খানজাহান (রহ:) সর্বশেষ যুদ্ধ করেছিলেন ফতেপুরে সেখানে আসার জন্য এই নদী দড়ি টানা নৌকায় পার হয়েছিলেন এজন্য নাম হয়েছে …
বিস্তারিত »
টানা পোড়েন – ৫ | সুব্রত মুখার্জী
স্বামী মারা যাওয়ায় অনিতা পৃথিবীটা অন্ধকার দেখে। ঘরে দুটো ছেলে। বড় ছেলেটা স্কুলে গেলেও ছোটটার বয়স দুই। বাবার আদর কাকে বলে জানল না ছোট ছেলেটা। বেঁচে থাকলেও আদর করার মত ছিল না ওদের বাপ। নেশার আসর থেকে বাড়িতে যতটুকু সময় থাকত চেষ্টা করত সন্তান উৎপাদন করতে। নেশার টাকা ঠিকমত না …
বিস্তারিত »
টানাপোড়েন-৪: গোপাল মাষ্টার | সুব্রত মুখার্জী
গোপাল মাষ্টার। এক সময় স্বপ্ন ছিল ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হবে। কোনটাই হতে পারল না। মধ্যবিত্ত বাপের ছেলে, কোচিং করাতে পারেনি। তাই জায়গা হয়নি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে। কলেজে পাসকোর্সে ভর্তি হয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে অনার্স করে বেকার। বাবার ১০ কাঠা জমির টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরী হল পাশের স্কুলে সমাজ বিজ্ঞান শিক্ষকের। চোখে …
বিস্তারিত »
ব্রাহ্মণ, কুমীর এবং শিয়াল পণ্ডিতের গল্প
একদা ছিল এক ব্রাহ্মণ। একই সাথে তার ছিল অসামান্য পাণ্ডিত্য এবং অনেক যজমান। সে যজমানদের বাড়িতে বাড়িতে পূজা-অর্চনা করত এবং তার দ্বারা ভালোভাবে পরিবারের ব্যয়ভার বহন করত। একদিন সে লক্ষ্মীপূজা করতে গিয়েছিল। অনেক বাড়ি পূজা করার পর প্রত্যেক বাড়িতে তাহাকে কিছু না কিছু খেতে হয়েছিল। এভাবে খেয়ে খেয়ে তার পেটের …
বিস্তারিত »
টানা পোড়েন-? | সুব্রত মুখার্জী
লাবনী বয়স ১৫। সার্টিফিকেটের বয়স ১৫ হলেও বাবা মার কথা আরও বেশী হবে। ঐ পোড়ামুখে স্যারেরা লাবনীকে দেখতে পারত না তাই তার বয়স কমিয়ে দিয়েছে। পাত্রর আব্বা বলে উঠেন বয়সটা আরও একটু কম হলে ভাল হত। কেননা তার ছেলের বয়স এই ৩৫ পেরিয়ে ৩৬ হয়েছে। শেষ পর্যন্ত পাত্র পক্ষ পছন্দ …
বিস্তারিত »
টানাপোড়েন – ২
রাবেয়ার বিবাহীত জীবনে দু’টি কন্যা সন্তান হলেও তাদের নিয়ে যথেষ্ট সুখী। রাবেয়া স্বামী স্থানীয় বাজারে চায়ের দোকান চালায়। প্রত্যেকদিন দোকান শেষে মেয়েদের জন্য কিছু না কিছু হাতে নিয়ে আসে সে। রাবেয়ার স্বামী সামছু তার জীবনে স্ত্রী, দুই সন্তান ছাড়া আর দোকান ছাড়া কিছুই নাই। সামছু খুব ছোট বয়সে বাবাকে হারায় …
বিস্তারিত »
টানাপোড়েন – ১
সুমন্ত ও তার স্ত্রী কাকলীর ১০ বছরের সংসার। বাবা মায়ের পছন্দে বিয়ে করা হলেও বিয়ের পরে তারা একে অপরকে ভালবেসেছে ভূলে গেছে যে যার অতীত জীবনের কথা। সুমন্ত একটা বেসরকারী সংস্থায় পরিচালনা পর্ষদে চাকরী করে। আর কাকলী একটি সরকারী স্কুলের শিক্ষক। একটি মেয়ে ৫ বছরের। ফুট ফুটে সুন্দরী। সারাক্ষন তোতা …
বিস্তারিত »
একাত্তরের ফজর
অবশেষে ললিতবাবু দীর্ঘনি:শ্বাস ছেড়ে বললেন,‘অনেক দিন হয়ে গেল তবুও এখনও যেন চোখের সামনে ভাসছে-চোখ বুজলে সব কিছু দেখতে পাই। মানুষের হিংসা লোভ ও অপরাজনীতির আগ্রাসী মনোভাবের সাথে পাল্লা দিয়ে আগুনের লেলিহান শিখা, ঘর বাড়ি খড়ের গাদা সহ সামনে যা পেল, সমানে ভষ্ম করতে শুরু করল। একদল চেনা জানা মানুষ গৃহস্থের …
বিস্তারিত »
পুরন কাগজে নতুন বেদনা
গতকাল বিকালে বারান্দায় এসে দাড়াতেই কানে বেজে এল “এই শণ-পাপড়ি”। আমারও হটাৎই খুব ইচ্ছে বেড়ে গেল। কত দিন শণ-পাপড়ি খাইনা। তাড়া-তাড়ি ডাকলাম ভাই এদিক আসেন। গেটের সামেন আসতেই বললাম, ভাই ‘শণ-পাপড়ি’ দেন। সংবাদ পত্রের এক পৃষ্ঠার আধেকটা ছিড়ে তাতে পূরর্ণ করে দিলেন তার শণ-পাপড়ি। নিলাম তার কাছ থেকে। টাকা দিয়ে …
বিস্তারিত »
গল্প বলার মানুষটা
তখন আষাঢ় মাস। ক্লাস শেষ করে বের হতেই কালো মেঘে আকাশ ঢেকে গেছে। স্যার স্কুল শেষে তাঁর বাড়িতে দেখা করতে বলেছেন। কাক ভেজা হয়ে স্যারের বাড়ি পৌছালাম। টিনের চালের ঘর স্যারের। ভয়ে স্যারকে না ডেকে বাইরে দাড়িয়ে রইলাম। স্যার খাওয়া শেষ করে বাইরে পানি ফেলতে এসে আমাকে দেখে ভিতরে আসতে …
বিস্তারিত »