সুভাষচন্দ্র বসু। ১৮৯৭ সালের এর দিনে বর্তমান ওড়িশা রাজ্যের কটক শহরে (ওড়িয়া বাজার) জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
কটক-প্রবাসী বিশিষ্ট বাঙালি আইনজীবী জানকীনাথ বসু তার পিতা এবং প্রভাবতী দেবী মাতা। পিতা-মাতার ১৪ সন্তানের মধ্যে নবম ছিলেন তিনি।
সুভাষচন্দ্র ছিলেন মেধাবী ছাত্র। ১৯১১ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় কলকাতা থেকে প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি। ১৯১৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে দর্শনে সাম্মানিক সহ বি.এ. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
এরপর সুভাষচন্দ্র কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় ভাল নম্বর পেয়ে তিনি প্রায় নিয়োগপত্র পেয়ে যান। কিন্তু বিপ্লব-সচেতন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সেই নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করেন।
১৯৩৮ সালে গান্ধির বিরোধীতা স্বত্ত্বেও কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিতন হন তিনি। পরবর্তীতে ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয়বারের জন্য ত্রিপুরা সেসনে কংগ্রেসের প্রসিডেন্ট নির্বাচিত হন।গান্ধির সাথে আদর্শগত অমিলের কারনে কংগ্রেস ত্যাগ করে অল ইন্ডিয়া ফরওয়ার্ড ক্লক গটন করেন।
তিনি বিশ্বাস করতেন ভারতবর্ষের স্বাধীনতা নির্ভর করে অন্য দেশের রাজনৈতিক, সামরিক ও কুটনৈতিক সমর্থনের উপর। তাই তিনি ভারতের জন্য একটি সামরিক বাহিনী গড়ে তোলার উদ্দ্যেগ গ্রহণ করেণ।
জাতীয়তাবাদী নেতা রাসবিহারী বসুর ১৯৪৩ সালে ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনী দায়িত্ব বসু সুভাষ চন্দ্রকে হস্তান্তর করেন। এ বাহিনীতে প্রায় ৮৫০০০ সৈন্য ছিল। এই বাহিনীর কর্তৃত্ব ছিল প্রাদেশিক সরকারের হাতে যার নাম ছিল মুক্ত ভারতে প্রাদেশিক সরকার (আরজি হুকুমাত-ই-আজাদ হিন্দ) এই সরকারের নিজস্ব মুদ্রা, আদালত ও আইন ছিল।
১৯৪৪ সালের ৪ জুলাই বার্মায় এক রেলিতে সুভাষ চন্দ্র্র বসু বলেন “তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব” ১৯৪৫ সালে ১৮ আগষ্ট এই কিংবদন্তি নেতার রহস্যজনক নিখোঁজ হয়।