ছবির এই গ্রামটির নাম কলাবাড়িয়া আদর্শ গ্রাম
এই গ্রামে নেই বিদ্যুৎ, নেই পাকা বা আধাপাকা রাস্তা, শিক্ষার সু–ব্যবস্থা, নুন্যতম চিকিৎসা ব্যাবস্থা সহ জীবণ ধারণের প্রযজনীয় অনেক কিছুই। তবুও নাম আদর্শ গ্রাম।
কি ভাবছেন? তবে কি ভাবে এ গ্রামের নাম আদর্শ গ্রাম?
এমন ভাবনা আমারও হয়েছিল প্রথমে। তার পর জানলাম মূল কথা। এটি আসলে ভূমিহীনদের একটি গ্রাম। না এখন আর কেউ ভূমি হীন না। বিভিন্ন সময় ভূমি হীন হওয়া মানুষ গুলোর আশ্রয় মিলেছে এখানে।
সম্ভাবত ২০০০ সালে মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপীয় কমিশনের যৌথ উদ্যগে ভূমিহীন মানুষদের আশ্রয়ে নদী চরের ৭.৭২ একর জমির উপর শুরু হয় এ গ্রাম প্রতিষ্ঠার কাজ। আর ২০০১ সাল থেকে বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের অন্তর্গত এ গ্রামে বসবাস শুরু করে ৪০টি পরিবার। দির্ঘ্য সাড়ে ৪-৫ বছর পর তারা বুঝে পান জমির মালিকানা (দলিল)। আর নিজ দেশে পান আপন জমির অধিকার।
একে বারে গ্রামের ভাষায় বলে ভিটে-মাটির অধিকার। তবে জমির অধিকার মিললেও এখন মেলেনি অনেক কিছু। নেই কাজের নিশ্চয়তা, নেই কাছাকাছি চিকিৎসা বা শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ। বিশুদ্ধ খাবর পানি, ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা কিম্বা বিদ্যুতের বাতি হয়ত এখান কার অনেকের কাছেই বিলাসিতা।
তবু মুগধ হতে হয় এখান কার মানুষ গুলোর সাথে কথা বলে। দারিদ্রতার কারণে অভাব আর অভিযোগের কথা হয়তো শুনবেন কিন্তু বেঁচে থাকার সংগ্রামে তাদের সাহস দেখলে অবাক হবেন আপনারা। খুব সামান্যতে তাদের হাসি মুখ দেখলে মুগ্ধ হবেন আপনি।
গত ক’দিন ধরে গ্রামটা নিয়ে সপ্ন দেখি আমি। সত্যি কি গ্রাম টাকে একটি আদর্শ গ্রাম করা যায় না?
আমি বিশ্বাস করি অবশই যায়। আর তা হয় তো খুব বেশি কঠিন নয় তা।
এই বিশ্বাস আমার আরও মজবুত হয়েছে কিছু উদ্যমী তারুন্যের শক্তি আর একজন সপ্নবাজ মানুষের সহচার্য পেয়ে। আর এই প্রত্যয়ে চাই এগিয়ে যেতে।
এখানকার মানুষ গুলোর অন্যতম দাবী তাদের সন্তানদের শিক্ষার ব্যাবস্থা। হয় তো জ্ঞানী-মনীষীদের বানী শোনেনী তারা কিন্তু জীবণ দিয়ে তাদের উপলব্ধি সন্তানদের হাতে শিক্ষার আলো তুলে দেওয়া। এই চাওয়াটা কি খুব বড় কিছু?
চাইলে আপনিও পারেন এদের পাশে দাড়াতে। এদের মতোন মানুষগুলোর পাশে দাড়াতে।
আমরা পাসে দাড়াচ্ছি। আর চাইছি আপনাদের সাহায্য, পরামর্শ …