অনলাইন! আমর কাছে তার বিহীন এক সম্পর্কের মাধ্যম। বছর পাঁচ, সাড়ে পাঁচ, আগে সাইবার ক্যাফের একটি দোকানে ফেসবুক এ্যাকউন্ট খুলতে বসেছিলাম এক ছোট ভাইকে সাথে নিয়ে। তেমন কিছুই জনতাম না ফেসবুকের। এ্যাকাউন্ট খুলতে গিতে প্রথম ইমেলই আইডি করা।
ই-মেইল বা ফেসবুক এর সম্পর্কে তার ও কিছু বছর আগে থেকে একটু আটটু জানা শুরু। নতুনের সাথে তাল মিলিয়ে চলতেই সেদিন তার হীন সে বাঁধনে যুক্ত হবার ইচ্ছা ছিল।
যদিও এসব ব্যবহারের মতো কোন ডিভাজই (মোবাইল/কম্পিউটার) ছিলনা আমর কাছে। আস্তে আস্তে নতুন এ মাধ্যমের সোথে সম্পার্কের কিছুটা উন্নতি ঘটে। দেখা মেলে মুক্তমনা বহু মানুষের সাথে। পেয়ে যাই আামর এক নতুন দিগন্ত।
যেখান নিজের কথা বলতে পারি। মাঝে মঝে নিজের ভূল ভাবনা গুলোকেও বুঝতে পারি। কখনও বা শত অন্যায় আর দ্বিধায় হতাশ হই। আর সব মিলিয়ে নিজেকে নতুন করে ভাবতে পারি ,বুঝতে শিখি।
তাই মাঝে মাঝেই নিজের ক্ষুদ্র যায়গা থেকে বলতে চেয়েছি আমর কথা। ফল হয়তো শুভ নয় সবসময়…
তাইতো, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দবি জানালে আমি হয়েছি আওয়ামীপন্থী। সুন্দরবন ধ্বাংস করে সরকারের হটকারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কথা বললে শুনতে হয় আমি বামপন্থী। আপন ভাবনা থেকে তত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করলে হয়ে যাই বিএনপিপন্থী।
সবশেষ গত ১৫ ডিসেম্বর কোন এক পুলিশি অভিযানের পর সত্য ঘটনা তুলে ধরলে হুমকি সহ শুনলাম আমি নাকি এসব পন্থী ছাড়িয়েও আর উন্নতি করেছি। আমি নাকি বর্তমানে জামায়াতের দালালি করছি…. এর জন্য সাবধানও করেছেন তিনি।
বেশ মজা পেলাম। আসলে গত দু’দিন ধরে ভেবেও নিজেকে নিয়ে কোন উত্তর পেলাম না।
শুধু জানলাম আমি নাকি জামায়াতের দালাল …