গতকাল বিকালে বারান্দায় এসে দাড়াতেই কানে বেজে এল “এই শণ-পাপড়ি”। আমারও হটাৎই খুব ইচ্ছে বেড়ে গেল। কত দিন শণ-পাপড়ি খাইনা। তাড়া-তাড়ি ডাকলাম ভাই এদিক আসেন। গেটের সামেন আসতেই বললাম, ভাই ‘শণ-পাপড়ি’ দেন। সংবাদ পত্রের এক পৃষ্ঠার আধেকটা ছিড়ে তাতে পূরর্ণ করে দিলেন তার শণ-পাপড়ি। নিলাম তার কাছ থেকে। টাকা দিয়ে ঘরে এসে বসলাম, কোলের উপর কাগছটা রেখে মুখে দিতে শুরু করলাম…। খুবই ভাল লাগছিল খেতে।
হটাৎ মা এসে বলল কি খাস?
মা এদিক এসো, এই নেওয়।
কই পেলি? কিনলাম।
এত। মা অনেক মজানা।
হ্যা, কিন্তু কিনা কি দিয়ে বানায়।
আমারও হটাৎই চারিদিকের ভেজাল জালা মনে পড়ে গেল। মাকে বললাম, মা শণ-পাপড়ি বানায় কি দিয়ে। মা হাসল। আমি বললাম না মা আমি বানাব। ভাল করে বানাব তার পর… । লোকটা এর পরদিন এলে আমি তার কাছে জিজ্ঞাসা করব তিনি কিভাবে তৈরি করেন। ততক্ষনে আর্ধেক টা শেষ। চোখ পড়ল কাগজ টার একটি লেখার দিকে। বড় আক্ষরে লেখা ক্যান্সার। লেখাতে ববুঝলাম এটা হয়্ত পত্রিকার সাস্থ পাতা। শণ-পাপড়ি শেষ করে তাই ভিতী কর শব্দ ক্যান্সার বিষয়ে লেখাটি ড়তে লাগলাম। নানা বিষয়ে জানলাম। ছেড়া কাগজেও থেকেও যে এত কিছু জানা যায় বুঝিনি।
লেখার একটা জায়গায় মহিলাদের ক্যান্সর ঝুকি বিভিন্ন দিক ও নানা কারনে তাদের রোগ লুকিয়ে রাখার প্রবনতা নিয়ে লেখক লিখেছেন, পুরুষের ও মহিলাদের মধ্যে নানা কারেন মহিলাদেরই ক্যান্সার ঝুকি বেশি থাকে। আমাদের দেশে ক্যান্সারের মহিলা রোগিরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাদের বিলম্বের জন্য ঘাতক ক্যান্সারে শেষ হয়ে আসেন ডাক্তারের কাছে। তাদের রোগ নিয়ে লজ্জা ও লুকিয়ে রাখার প্রবনতাই এর কারণ। তাদের যদি একটু স্বচেতন করা যায়, তবে তারা আনেক খানি ঝুকি মুক্ত থাকতে পারেন।
একটু স্বচেতন হলে আনেক খানি ঝুকি মুক্ত হওয়ায, কথাটা যেন আমাদের দেশের বহু ক্ষেত্রেই মিলে যায়। আসলে নিজে স্বচেতন হওয়া চাই, তবেই স্বচেতন করা য়াবে আন্যকে। ক্যান্সারে বিষয়টা পড়া শেষে পাতাটার উপরের অংশে কী বিষয়ে লেখা ছিল তও বেশ জান্তে ইচ্ছে হচ্ছিল। মনে হয় যেদিনের পত্রিকা ঐ দিনই পড়ার চেয়েও বেশি আগ্রহ লাকছিল। তা না পাওযায় পাতা উলটে পেছনের পাতাটায় তাকাই পড়বার আকুতি নিয়ে। কিন্তু খুবই করুন এক একটা ছবি। লাশের মিছিলে। বেশ কয়েকটা খত-বিখত লাশ।
হ্যাঁ, সড়ক দূর্ঘটনা। স্বচেতনা কথাটা কানে বেজে ইঠল। তখনও ছবির পাসের লেখা পড়ে শেষ করতে পারিনি। হটাৎ কানে ভেষে এল রাস্তায় বেশ ছুটাছুটির শব্দ। আমি বের হলাম। শুনলাম Accident. আমিও বেরিয়ে পড়লাম। ছুটতে লাগলাম সামনের দিকে, আর সবার কাছ থেকে জানতে চাই ছিলাম কোথায়? কখন? প্রশ্নর উত্তরে কেউ এক জন বলল, বড় রাস্তয়। সামনে যেতেই শুনলাম, এইত এই মাত্র।
দুর থেকে দেখা যাচ্ছে বড় একটা জটলা। কাছে গিয়ে ভিড় ঠেলে এগলাম, এ কি…..
দেখলাম সেই লোকটা। শণ-পাপড়ি ওয়াল। রক্ত মাখা তার শররির টা। একটু পাসেই পেড় আছে তার বড় শণ-পাপড়ির থালাটা। থালাতার থেকে ছিটেকে গেছে শণ-পাপড়িগুল।
শররিরের গড়িয়ে যাওয়া রক্তে ইতমদধ শণ-পাপড়ি গুলর রং লাল হতে শুরু করেছে। বুঝলাম আমার আর শণ-পাপড়ি বানান শেখা হল না। জানি না কোন দুঃক্ষে চোখ ভিজে এল।