হিংস্র বন্দুকের নলের মুখে দাঁড়িয়ে আমি।
কি ভেবেছ আমায়?
ভীত?
তবে তাকাও আমার চোখের দিকে।
কি দেখতে পাচ্ছ?
“ঘৃণা”
তাইনা?
সরিয়ে নিচ্ছ কেন তোমার চোখ?
পারছ না আমার চোখের ঘৃণা সইতে?
পারছ না আমার চোখ থেকে ঠিকরে বেরোনো শক্তি গ্রাহ্য করতে?
কোথায় গেল তোমার সেই পৌরুষের অহংকার?
শিৎকারের মতো পঙ্কিল উচ্চারনে করা তোমার বিচার?
আমার মতো একটা শিশুর চোখের আলো সইতে না পেরে চোখ সরিয়ে নিচ্ছ কেন?
আসো,
একটি খেলা খেলি।
দেখি কতসময় নিষ্পলক তাকিয়ে থাকতে পারো আমার চোখে।
জানি, পারবে না।
পারবে আমায় থামাতে,
পারবে এই চিৎকার রোধ করতে,
পারবে না আমার স্বত্তাকে বশ করতে।
নিশ্চিত, তুমি পারবে না।
তুমি শুধু পারো বন্দুকের মুখে দাঁড় করিয়ে হুমকি দিতে,
পারো অযথা বড়াই করতে।
পারো তো শুধুই মিথ্যে ভয় দেখিয়ে, শ্রেষ্ঠ্যত্ব জাহির করতে।
দাও,
ছিন্নভিন্ন করে আমার দেহ।
ছোঁড় গুলি ওই স্বর্পিল কদাকার বন্দুকের নল থেকে।
মৃত্যুর ভয় পায়না আমি।
ভয়ের মন্ত্র আগেই ভুলেছি,
তোমার দেখান ভয়গুলো আজ ঘৃণা হয়ে ঠিকরে বেরোচ্ছে আমার চোখ থেকে।
তোমার দেখান ভয়গুলো আজ ভ্রুকূটি করে হাসছে তোমার দিকেই তাকিয়ে।
চোখ সরিয়ে নিচ্ছ কেন?
সহ্য হচ্ছে না বুঝি?
কি হল?
দাঁড়িয়ে আছ কেন বন্দুক উঁচিয়ে?
হাত কাঁপছে কেন তোমার?
টেনে ধরো ট্রিগার,
বেরিয়ে আসুক গুলি,
ঝাঁঝরা করুক আমার বুক।
তবুও আমার স্বপ্ন, আমার সত্য,
আমার সংগ্রাম, আমার বিশ্বাস মরবে না।
আরও শত-সহস্র সাহসী হেঁটে যাবে এই পথ ধরে।
শুধু তুমিই ধীরে ধীরে কুরে কুরে,
অসহ্য যন্ত্রণায় মরবে,
নয়ত বেঁচে থাকবে আমার দয়ায়।
মনে রাখবে সাহসীর মৃত্যু নেই,
মৃত্যু হয় তোমার মতো কাপুরুষের,
প্রতি মূহুর্তে, প্রতিদিন।
প্রতিপদক্ষেপে সহস্রবার,
তোমার মানসিক যন্ত্রনা সীমাহীন।
দাঁড়িয়ে আছো কেন?
চালাও গুলি।
হাহাহাহাহা একবারেই এতটা দূর্বল হয়ে গেলে তুমি?
কোথায় হারিয়ে গেল তোমার তেজ?