জাতিসংঘ এইডস রিপোর্ট অনুযায়ী ২০০১ সালের পর শিশুদের মাঝে শতকরা ৫২ ভাগ এবং শিশু ও বয়স্কদের মাঝে শতকরা ৩৩ ভাগ নতুন এইডস্ আক্রান্ত রোগী কমে গেছে।
মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল ৬ এর প্রাক্কালে এইডস্ এর প্রাদুর্ভাব কমানো বা বাধাগ্রস্থ করা সম্ভব হয়েছে। কাজ চলছে সার্বজনীন এইডস্ চিকিৎসার লক্ষ্যমাত্রা এগিয়ে নেবার।
শিশু ও বয়স্কদের মাঝে নতুন এইচ আইভি সংক্রমনের সংখ্যা ২০১২ সালে ২.৩ মিলিয়ন, যা ২০০১ সালের তুলনায় শতকরা ৩৩ ভাগ কম। শিশুদের মাঝে ২০১২ সালে নতুন এইচ আইভি সংক্রমনের সংখ্যা হ্রৃস পেয়ে দাড়িয়েছে ২.৬ মিলিয়ন যা, ২০০১ সালের তুলনায় শতকরা ৫২ ভাগ কম। এইডস্ জনিত মৃত্যুর হার কমেছে শতকরা ৩০ ভাগ, যা ২০০৫ সালে সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছেছিল। এর কারন হলো অ্যান্টি রেট্রোভাইরাল চিকিৎসার সম্প্রসারণ।
২০১২ সালের শেষে নি¤œ ও মধ্যবিত্ত আয়ের দেশে ৯.৭ মিলিয়ন রুগী অ্যান্টি রেন্ট্রোরাল চিকিৎসায় পেয়েছে, যা মাত্রা ১বছরে অর্থাৎ ২০১১ সালের তুলনায় শতকরা ২০ ভাগ বেশী। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমুহ ২০১৫ সাল নাগাদ ১৫ মিলিয়ন লোককে এইচ আইভি চিকিৎসার আওতায় আনার সিদ্ধান্তে সম্মতি জানিয়েছেন।
২০১২ সালে ৩৫.৩ মিলিয়ন (৩২.২ মিলিয়ন থেকে ৩৮.৮ মিলিয়ন) লোক এইচ আইভি আক্রান্ত হিসাবে চিহিৃত হয়েছে। ২.৩ মিলিয়ন ( ১.৯ মিলিয়ন থেকে ২.৭ মিলিয়ন) লোক নতুন ভাবে আক্রান্ত হয়েছে। ১.৪ মিলিয়ন থেকে ১.৯ মিলিয়ন) লোক এইডস্ জনিত কারনে মৃত্যুবরন করেছে।
২০১৫ সাল পর্যন্ত ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রার উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো :
* যৌন সংগমের মাধ্যমে এইডস্ এর বিস্তার শতকরা ৫০ ভাগ কমিয়ে আনা, বিশেষ করে যুবকদের মাঝে যারা সমকামিতায় লিপ্ত।
* এইডস্ জনিত কারণে মাতৃ মৃত্যুর হার শতকরা ৫০ ভাগ কমানো।
* ড্রাগ আসক্তদের মাঝে নতুন সংক্রমন প্রতিরোধ করা।
* সার্বজনীন অ্যান্ট্রি রেন্ট্রো ভাইরাল থেরাপীর ব্যবস্থা নিশ্চিত করণ, বিশেষ করে যারা চিকিৎসার জন্য উপযোগী।
* এইচ আইভি আক্রান্তদের মধ্য যারা যক্ষায় আক্রান্ত তাদের মৃত্যুর হারে শতকরা ৫০ ভাগ কমানো।
* এইচ আইভি আক্রান্ত ব্যক্তি ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জাতীয় ও সামাজিক প্রতিরোধের আওতাভুক্ত করা এবং প্রয়োজনীয় যত্ন ও সাপোর্ট প্রদান করা।
* যৌন কর্মি, ড্রাগ আসক্ত ও সমকার্মিদের মাঝে সংক্রমনের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনা।
* জেন্ডার বেস্ড ভায়োলেন্স প্রতিরোধ করা।
বিশ্ব এইডস্ দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো “গেটিং টু জিরো”(Gettinj to zero”)।
লেখক: ডা: শিব্বির আহমেদ
সিনিয়র লেচারার, ম্যাটস্ বাগেরহাট।