যদি বন্ধু হও হাতটা বাড়াও। হ্যা, ব্যাপারটা কি ছুটা এমনই। সবাই জানে অবৈধ যান নসিমন। কিন্তু এটাও জানে সবাই সড়কে বেরিয়ে একটু হাত বাড়ালেই মিলবে পথে বাধা হীন চলার বৈধতা।
কিছুটা গ্রাম অঞ্চেলে তো কথাই নেই। আর এখন তো শহরের রাজপথ বা গলি পথের দাপুটে যান এই নসিমন।
সেলো ইঞ্জিন চালিত নসিমনের আকৃতির ভিন্ন নামের আরও কিছু যানও চলাচল করছে এখন সড়কে যা সমান ঝুকি পূর্ণ। বটবটি, করিকমন, কাকড়া ট্রলি, সেলো চালিত টেম্পু বাড়িয়ে দিচ্ছে আমাদের সড়ক পথের বিপর্যয়।
প্রতি দিনের নিত্য খবরের বড় অংশ হয়ে ওঠা সড়ক দূর্ঘটনা কারণ হিসারে বেপরওয়া চালক আর বড় বড় গাড়ির ফিটনেসর প্রশ্ন যে ভাবে আসে হয়তো ততটা বড় হয়ে আসে না এসব অবৈধ গাড়ির কথা। কিন্তু দিন দিন আমাদের সড়ক পথকে মৃত্য পূরিতে পরিনত করছে এরা।
এটা সত্য স্বাধীনতরার ৪২ বছর পরও গড়ে ওঠেনি যোগাযোগের জন্য প্রযোজনীয় সড়ক ব্যাবস্থা। হয়তো অনেক এলাকার মানুষের এক মাত্র বহন এই যান গুলোই।
কিন্তু শহরের বা গ্রামের পাকা সড়ক গুলোতেও যখন এসব অবৈধ যান চলে বাঁধাহীন ভাবে। না একদাম বাঁধহীন তাও ঠিক নয়। মাঝে মধ্যে হাতটা বাড়াতে হয়।
হাত বাড়াতে হয় পুলিশের কছে। কখনও ৫ কখনও ১০ টাকা তাতেই মিলবে বৈধতা। এদের বাইরেও বিভিন্ন স্থানে এসব যানের বৈধতা দেন এক শ্রেণীর চাঁদাবাজ। পথের রুট পারমিটের মতন এদের আছে রশিদের ব্যবস্থা। কোথাও দিন আর কোথাও প্রতিবার চলার জন্য কাটতে হয় এমন রশিদ।
রশিদের ব্যাখ্যাটা সেই পূরান ধারার। শ্রমিক সংগঠন, সমিতি, কল্যান তহবিল এমন সব অভিনব ব্যানারে।
পুলিশ প্রশাসন আর পথে পথে এমন চাঁদার ব্যাবস্থা বাগেরহাটের কম বেশি সব সড়কে।
সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ট্রাফিক পোষ্ট এখন ধরণের যানবাহন বৈধতা দেবার কেন্দ্র। চলতি পথেই চালক এক হাত প্রসারিত করে দিচ্ছেন আর হাঁসি মুখে তা গ্রহন করে নিচ্ছেন দাড়িয়ে থাকা ট্রাফিক বা তার এজেন্ট।
আর এই প্রক্রিয়া অনুসরনে পরবর্তি ট্রাফিক পোষ্ট বা পুলিশ বক্স প্রযন্ত মিলছে বৈধতা। তার পর আরাও পূরাতন পদ্ধতি। হাতটা বাড়াও।
শুধু অবৈধ নয় হাত বাড়া বার এ প্রক্রিয়া সমান ভাবে বাস্তবায়িত হয় বৈধ যান ট্রাকের উপর। যেন পথে সরকারি নিয়মে মাসুল গুনতে গুনতে গন্তব্যের পথে যাত্রা এসব যানবাহনের।
এমন বৈধ করন প্রক্রিয়ার বাইরেও চলে টোকেন বা নানা কারনে স্থানীয়দের চাঁদা প্রদান। আর এসবের পর বৈধ হচ্ছে যে যান তা কেড়ে নিচ্ছে বৃষ্টিদের মতন কোমন মেধাবীদের জীবণ।
বৃষ্টি রানী ডাকুয়া। পাতিলাখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। গতকাল (শনিবার) বিকালে জেএসসি (জুনিয়ার স্কুল সার্টিফিকেট) পরীক্ষা শেষে নসিমনে করে পরীক্ষা কেন্দ্র বাগেরহাট আমলাপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফিরছিল বৃষ্টি।
পথে সদর উপজেলার পারনওয়াপাড়া এলাকায় নসিমনের চাকায় ওড়না পেচিয়ে ঘটনা স্থলে মারা যায় বৃষ্টি।
এমন মৃত্যুর দায়ভার কার। শুধুই দশ টকার ভিকারিদের, নাকি আমাদের এই সমাজ, সমাজ ব্যাবস্থার ?