জালাল হেলাল আমার প্রাথমিক শিক্ষা জীবনের বন্ধু। বাবা গ্রামের হাটে তেলের দোকান নিয়ে বসত এজন্য এলাকার লোকজন তেলী বলে ডাকত। একে একে পাচটি ছেলে ও দুইটি মেয়ে জন্ম দিলেন। জীবনের চলার পথে জালাল কোথায় চলে গেল?
শোনা যেত জালাল পাকিস্থানে আছে। হেলাল এলাকায় ছোট খাট কাজ করে একসময় বিয়ে করল। একটি মেয়ে ও ছেলের বাবা হেলাল। বিভিন্ন সময় শুনি হেলাল মাছ চুরি করে। এলাকার বিচারে তার শাস্তি হয়। বিচারকেরা উত্তম মধ্যম দেওয়ার সাথে জরিমানা করেন।
কোনদিন মনে হয়নি হেলাল আমার বন্ধু। সেদিন রাতের বেলায় অনেক চিৎকার চেচামেচি। সকাল বেলায় আমার বড় চাচার কথায় ঘুম ভাঙ্গল। নির্ধারিত সময় ঘুম থেকে উঠি অফিসে যাই অফিস থেকে আসি মেয়ের সাথে খেলাধুলা করি ঘুমিয়ে যাই আমি মধ্যবিত্ত। আমার কোন সমস্যা নাই। আমার চাচা বলছে পা ছাড় পা ছাড়। কিছুক্ষন পর বুঝতে পারলাম হেলালের মেয়ে আমার চাচার পায়ে তার বাবাকে বাচানর জন্য আকুতি করছে।
আমার চাচা এলাকার বিভিন্ন বিচারে বিচারকের ভূমিকা পালন করে। বাড়ির অন্য ভাইয়েরা বলছে কাল আর সারতে পারে নি চোরের দশদিন গৃহস্থর একদিন। জানতে পারলাম এলাকায় বাজারে হেলাল দড়ি দিয়ে বাঁধা।
আমার অফিস যেতে হবে। বেরিয়ে পরলাম রাস্তায় দেখা হল এলাকার বেশ কিছু উঠতি যুবকের সাথে তারা ঐ বাজারে যাচ্ছে জিজ্ঞাসা করলাম কোথায় যাচ্ছ। সমস্বরে উত্তর এল চোর ধরা পড়েছে বিচার হবে। লোক জন যেন বড় ধরনের কোন অনুষ্ঠানে যাচ্ছে।
রাতে অফিস থেকে ফিরলাম সহধর্মীনির কথায় জানতে পারলাম হেলালকে ভ্যানে শুইয়ে বাড়ি নিয়ে আসা হয়েছে তার অভিমত যথেষ্ট হয় নি।
রাতে বার বার মনে হচ্ছে হেলাল আমি একই সাথে পড়া শুরু করেছিলাম গ্রামের স্কুলে। হেলাল চুরি কেন করে? কয়েকটা মাছ চুরি জন্যই কি চুরি করে না অন্য কোন বিষয়। জানার মত সাহস করে দেখা করতে যেতে সাহস পাই নি হেলালের বাড়িতে।