নিধিয়া জাহান ইফা।
মংলার সেন্ট পলস্ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী ইফা। পেপসোডেন্ট -প্রথম আলো জাতীয় স্কুল বিতর্ক উৎসবের বাগেরহাট (বাগেরহাট, পিরোজপুর ও গোপালগঞ্জ) অঞ্চলে আয়োজনে অংশ নিতে এসেছিল ইফা।
শ্রেণী হিসাবে ৭ম নি:সন্ধে ছোট। যেখানে অন্য সবাই ছিল ৯ম/১০ম শেণীর। আর বয়স হিসাব করলে তো আরও।
অংশ নেওয়া ৩ জেলার ১৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে ছোট বন্ধু ইফা।
বক্তব্যের ডায়েচে দাঁড়ালে ওকে দেখা যায় না। চৌকির উপর দাঁড়াতে হয়। কিন্তু ইফার বক্তব্য মুগ্ধ করেছে দর্শক, বিচারক সবাইকে।
পৃথিবীটাকে কতদিনই বা দেখেছে! কিন্তু ওর যুক্তি-তর্ক, উপস্থাপন শৈলী, তথ্য সংগ্রহের অনুসন্ধিত্সু মন অবাক করার মতন। ইফার মত একজন বিতার্কিকের জন্য এমন একটা উতসবের আয়োজন করতে পেরে খুব খুশি। গত দুই সপ্তাহ ধরে করা পরিশ্রম সার্থক।
ইফার বাড়ি বাগেরহাটের একটি উপজেলা শহরে। সেখানে ট্রাফিক পুলিশ থাকার কথা না। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে বিতর্কের বিষয় ছিল ‘যানযট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকাই বেশি‘। ইফা যানযট বা ট্রাফিক পুলিশ কোনটাই হয়তো দেখেনি। তারপরেও ওর দেখা ছোট পৃথিবীর সামান্য অভিজ্ঞতা থেকে যুক্তির উপস্থাপনের চেষ্টা দেখে মনে হয় বাংলাদেশ সত্যিই ঘুমিয়ে যায়নি।
আমরা জেগে আছি। ইফারা জেগে আছে। ধন্যবাদ ইফা। শুভ কামনা রইল। অনেক বড় হও।
স্বত্ব ও দায় লেখকের…