জীবনের শ্রেষ্ঠতম হেডব্যাং করলাম আজকে। স্লোগানের তালে।
রক্তে অনুভূত হলো প্রতিবাদের শিহরন।আজকে মনে হল আমি বাঙ্গালী।আমি মেটালহেড।
নতুন করে উপলবদ্ধি করলাম সেই সত্যি।
যে সত্যি আমার স্বত্তায় মিশে বুঁদ হয়ে যাচ্ছে।যার জন্য সমাজ,পরিবার,শিক্ষাব্যবস্থাকে ত্যাগ করে আমার এই অপ্রাপ্ত বয়সেই এগিয়ে চলেছি উল্টোপথে।
হতাশাকে অনেক আগেই ঝেড়ে ফিলেছি।
তবে আমি ভাগ্যবান জীবনে অনেক ভাল একজন বন্ধু পেয়েছি।যে তার অনেকটায় আমাকে দিয়েছে।তার সাথে একশ বছর কথা না বললেও বন্ধুত্ব অমলিন।
তবে নতুন মাত্রাযোগ করে নৈমিত্তিক অভিযোগ,অনুযোগ।
সে সেরা বন্ধুর চাইতেও অনেকবেশী কিছু।
আজকে আমি নিজেকে আবিষ্কার করলাম সেই জায়গায় যেখানে নিজেকে চিন্তা করতাম।
অগ্রসরমান হয়ে এগিয়ে গিয়েছি।যা এতদিন কল্পনা করে এসেছি শুধুমাত্র।
মুষ্টিবদ্ধ হাত আকাশে ছুড়ে দিয়েছি আরও হাজার হাজার চির অপরিচিত আর আমার জনা কয়েক বন্ধুর সাথে।
যা এতদিন স্বপ্নে দেখেছি।
চিৎকার করেছি সর্বশক্তি দিয়ে।যা অনুশীলন করে আসছি অনেক দিন থেকে।
হয়ত মনে হতে পারে আমি রোমাঞ্চ প্রেমী।
তবে,হ্যা আমি তাই।
মনে হতে পারে আমি অতি উৎসাহী।
তবে,আমি তাই।
আমি যা,আমি ঠিক তাই।
ঊন্মত্ত শিবের ন্যায় উন্নাসিক।
আমি চাই মানুষের কাতারে দাঁড়াতে।চাই নিজেকে আবিষ্কার করতে।নিজেকে শুনতে।
আমি চাই প্রতিবাদ করতে,চিৎকার করতে।
তাই মেটাল ভালবাসি।
আজ ওয়ারফেজের কনসার্টের এর চেয়েও অধিকভাবে নিজেকে আবিষ্কার করলাম সমাবেশ স্থলে।
শিখছি আমি।শিখে চলেছি প্রতিনিয়ত।সামনে শিখব আরও।
প্রয়োগ করব এই জ্ঞান ভবিষ্যতে।
আমি আজ নিশ্চিত হলাম,আমি যা চাই তাই ই হব। পাঠ্যপুস্তকের প্রয়োজন শেষ।
ভবঘুরে শয়তান নামক আজিব জীব এখন থেকে তার বাস্তবতায় বিচরন করবে। পেয়ে গেছে তার গন্তব্য।
এখন সে নির্ভয়। অনেকটা ই শান্ত।
তবে হাঁটা শুরু করি?