প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও (১০ই সেপ্টেম্বর) সারা বিশ্বে পালিত হলো বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যার তথ্য অনুসারে প্রতি বছর বিশ্বে অন্তত: ১০ লাখ লোক আত্মহত্যা করে। এ সংখ্যা যুদ্ধ ও খুনের ঘটনায় নিহতের চেয়েও বেশি। রিপোর্টের পাশা পাশি বিশ্বে আত্মহত্যার প্রবনতা রোধে জরুরী পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন সংস্থ্যাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ১০ লাখ অর্থাৎ প্রতি ৪০ সেকেন্ডে ১জন লোক আত্মহত্যা করে এতে আরও বলা হয়েছে বিশ্বে পাঁচ শতাংশ মানুষ জীবনে অন্তত: একবার আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। তবে এ সমস্যা সহজেই উত্তরণযোগ্য বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সরকার গুলো স্বাস্থ্য, সামাজিক উন্নয়ন, মানব ও আর্থিক সম্পদ খাত উন্নয়নের মাধ্যমে এই সমস্যা মোকাবিলা করতে পারে।
আত্মহত্যার প্রবনতা বয়: সন্ধিকালীন কিশোর ও কিশোরীদের মধ্যে বেশী। প্রতিবছর বিশ্ব ব্যাপী অন্তত: এক লাখ কিশোর কিশোরী আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। আর বয়স্ক লোকদের মধ্যে ৭৫ বছরের কাছাকাছি বয়সের লোকদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবনতা বেশী। তারা অল্প বয়সীদের তুলনায় বেশি বেশি হারে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে একজন পুরুষের তুলনায় নারী জীবনে বেশিরভাগ আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
আইনে আত্মহননের চেষ্টা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কাউকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেওয়া আরও বড় অপরাধ।
আত্মহত্যায় সহায়তা বা প্ররোচনা কারীকে দন্ডবিধির ৩০৬ ধারা অনুযায়ী ১০ বছরের কারাদন্ডের বিধান রয়েছে। এ ছাড়া আত্মহত্যার চেষ্টা কারির শাস্তি দন্ডবিধির ৩০৯ ধারায় এক বছর কারাদন্ড।
দৈনিক “প্রথম আলো’য় প্রকাশিত তথ্য মোতাবেক গত জানুয়ারী থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত সারাদেশে ৩,১১৫ জন আত্মহত্যা করেছে। ২০১১ সালে ৯,৬৪২ জন এবং ২০১২ সালে মোট ১০,১০৮ জন আত্মহত্যা করেছে।
অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে আত্মহত্যার হার কম। শহরাঞ্চলে আত্মহত্যার ঘটনা বেশি ঘটেছে প্রতারনার শিকার হয়ে আর গ্রামঞ্চলে মুল কারন যৌতুক। এছাড়া স্কুল কলেজগামী মেয়েরা উত্যাক্তের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করছে।
লেখকঃ- ডা:শিব্বির আহমেদ
স্বত্ব ও দায় লেখকের…