অস্তীত্বের প্রয়োজনে লিখে চলেছি,
একেরপর এক মিথ্যে গল্প।
ভূমিষ্ট হয়েছি ক্ষয় হতে,
মিথ্যে আমার এই মানব জন্ম।
ধর্মগ্রন্থে উদ্ধৃত হয়েছে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠত্ব বরণ করবে মানব সম্প্রদায়,
আমি নিঃস, নিকৃষ্ট
খুন হয়েছি তোমাদের সভ্যতায়।
আমি কীটের ন্যায় ক্ষুদ্র
আমি অপদেবতা, শত্রু আমার রুদ্র।
হতে চেয়েছিলাম উদ্দাম লাগামহীন ঘোড়া।
স্বপ্ন নিকোটিনের ন্যায় পোড়া।
পেয়েছি তাচ্ছিল্য,
আসেনি সাফল্য,
বিষাক্ত গন্ধ ঢেকে দেয় ঘর,
সকল সত্যকে করেছি আমার পর,
স্বপ্ন সাদা ধোয়ার মত অশুদ্ধ,
আমি ক্রুদ্ধ
আমি বর্বর
আমি মাড়িয়ে চলেছি ঘন বন
পায়ের চাপে শুকনো পাতার ক্রন্দন ধ্বনি মূর্ছিত হয় মর্মর।
আমি ঘৃণা সিক্ত অমানুষ,
জ্বলে পুড়ে আমি শেষ হই,
আমি আকাশগামী ফানুস।
পারিনা সৃষ্টি করতে,
পারিনি আমি স্বচ্ছায় মরতে,
যুদ্ধ করি সম্মুখ সমরে,
বিদ্রোহী নই তোমাদের প্রচারে।
অন্ধকারের রক্ত শুষে বেঁচে রই দীর্ঘশ্বাস চেপে।
আমি অপদেবতা নাটুকে সমাজে।
আমি পরিত্যাক্ত
আমি অসমাপ্ত
আমি অঙ্কিত চিত্র
কোনো এক মিউজিয়ামে।
আমি অপদেবতা,
তাই সবাই ঘৃণা কোরো আমায়,
তোমাদের সভ্য সমাজে।
আমার স্বপ্ন থাকতে নেই
আমার কান্নার অনুমতি নেই
প্রতিবাদের আগেই ভেঙ্গে দেওয়া হয় আমার শিরদাঁড়া।
আমি মানুষ হয়ে বাঁচতে চাই,
জীবন, উন্মত্ত ঘোড়ার মত লাগাম ছাড়া।
বাস্তবে, আমি অপদেবতা।
পঙ্কিল, কলুষিত এই স্বত্ত্বা।
স্বত্ব ও দায় লেখকের…