সময় বয়ে যায়।
নিশব্দে, প্রতীক্ষা আর সীমাহীন অস্থিরতায়।
বৃষ্টি পড়ে
রিনিঝিনি ক্রন্দন ধ্বনি তুলে,
সস্তা মেসের মরচে পড়া টিনের চালে।
হঠাৎ টুপ করে ঝরে পড়ে একফোঁটা বৃষ্টির জল।
নির্লীপ্ত চেয়ে রয় ধ্রুব,
দৃষ্টি অশ্রুসজল।
সীমাহীন বেদনা বাজিয়ে চলেছে বেহালা,
হৃদয়ের অলিন্দে,
সে করছে দেবীর অবহেলা,
পৈশাচিক আনন্দে।
বৃষ্টি ঝরে রিনিঝিনি শব্দে টিনের চালে,
ধ্রুবের হৃদয়ে আজ নিষ্ঠুর প্রেমের চিতা জ্বলে।
হাত বাড়িয়ে টেনে সিগারেটের প্যাকেট,
যন্ত্রনা দেয় তার মস্তিষ্ক, বশীভূত হয়না আবেগ।
ধ্রুব যে ছিল কবি,
যে উদয়ক্ষণে দেখেছিল রক্তাক্ত রবি,
অন্ধকার ঘরে কীটের ন্যায় পড়ে রয় সে।
দেবী,
বহুদূর, চলে গেছে বহুদূরে।
ধ্রুব প্রত্যাখান করেছিল তাকে।
বেঁচে থাকার ইচ্ছা লোপ পায় ধ্রুব’র।
পতন ঘটে আরেকটি দীর্ঘশ্বাসের।
স্বত্ব ও দায় লেখকের…