মানবের পৃথিবী দানবের হাতে কতকাল হবে কলুষিত
কেউ ধরেনা হাত চির উপেক্ষিত দুর্বলের।
সূর্যদীপ্ত তেজে জীবনের অনন্ত জিজ্ঞাসায়
গরব কণ্ঠে মাথায় পড়লে মানবতার উজ্জ্বল মুকুট।
‘গীতাঞ্জলি’ ‘অগ্নিবীনা’ দিয়ে বন্ধুর পথে
চোখের তারায় জ্বালালে হাজার সূর্যের আলো।
গংগায় পদ্মায় এক হয়ে গেছে তোমার শানিত চেতনা
তুমিই তোমার তুলনা।
আমাদের জন্মান্ধ যৌবনে
মৌনতার সূতোয় বোনা রঙিন চাঁদর এনে
তুমি দিয়েছিলে ভালবাসার আদর।
সাদা কালোর অহেতুক দ্বন্দ্বে ক্ষয়িষ্ণু সভ্যতার মঞ্চে
উদার আকাশের হাত ছানিতে সম্বিৎ ফেরালে দাম্ভিক দ্বিপদীর।
বিস্তীর্ন দুপারের মানুষের হাহাকারে উদ্বেলিত
তুমি প্রত্যয়ের ভাস্কর সহস্র বর্ষার উন্মাদনা নিয়ে শোনালে
সমাজ ভাঙার গান।
কে আর লিখবে খোলা চিঠি শরৎ বাবুকে
কে আর নেবে খবর অর্ধভূখ গফুর মহেশ আমিনার
কে আর করবে প্রশ্ন স্বদেশী বর্গীর নির্লজ্জ লুণ্ঠণে
কেন সবাই নির্বিকার ?
বিশ্বপথিক তুমি দিব্য চোখে দেখেছিলে বঞ্চিতের যন্ত্রণা
ভলগা গংগা মিসিসিপি থেকে নায়েগ্রা হিমালয় ঘুড়ে
গগন চুম্বী অট্টালিকার পাশে গৃহহীনদের যন্ত্রণার আগুনে
পুড়ে খাঁটি হয়েছিলে হে প্রিয়তম যাযাবর।
তোমার মহাযাত্রায়
একটি গম্বুজ ধ্বসে গেল মানবতার
ছিঁড়ে গেল হৃদয়ের তার
তোমার কণ্ঠ অযুত নিযুত কণ্ঠে গর্জে উঠুক বারবার।
___ছবি: ওয়েব থেকে সংগ্রহিত.