নিঝুম রাতে তপ্ত বুকে আমি দাড়িয়ে
মাথার উপরে দৃশ্যমান কিছু ‘তারা’
আমাকে নিয়ে বিদ্রূপ করে।
ভাসমান কিছু আলতো মেঘ
লুকোচুরি খেলে চাঁদের সাথে,
বেশীক্ষণ তাকিয়ে থাকা যায় না
চোখ ঝাপসা লাগে।
বুকের মধ্যে বেজে ওঠে হু হু সুর ঝংকার
বোবা কান্না চেপে জেগে থাকি সারারাত।
কি অসম্ভব আর্তনাদ!
ঝি ঝি পোকার চিৎকার!
কখনো কখনো মনে হয় ওরা যেন একসাথে
একই সুরে সেই প্রিয় নাম ধরে কাঁদে।
আমি আঁতকে উঠি
অস্থিরতায় ভেসে যাই,
ভুলে থাকতে চাইলেও পারিনা।
আমার দেখা অদেখা ভুবন আমাকে নিয়ে
উপহাস করে।
আমার চারপাশের চেনা সব দৃশ্যপট
বারবার ফিরিয়ে নিয়ে যায়
সেই স্থির সময়ে।
আমি বড় ক্লান্ত;
সামনে এখনো কতই না বন্ধুর পথ!
হিংস্র দানব এই লকলকে অন্ধকার থেকে
ছিনিয়ে আনতে হবে ছোট সবুজ কুটীর।
কিন্তু পায়ে আমার তোমার দেয়া বেড়ী,
মুক্ত স্বাধীন বেড়ী।
স্বাধীনতার মাঝে কি নিষ্ঠুর নির্বাসন!
হয়ত কখনই বলব না
‘ফিরে আস’ ।
নির্বুদ্ধিতা সমস্ত পথকে করেছে দুর্গন্ধময়।
তবু তীব্র তাড়নায় যখন ছুটে যাই
অল্পতেই মুখ থুবড়ে পড়ি পচা নর্দমায়।
সমস্ত শরীর নট-নটীদের বিষালো সূচে নীল।
তবু বেঁচে থাকি, থাকতে হয়।
স্বপ্ন দেখি, দেখতে হয়।
শুধু যদি তুমি চাও
তবে সব ক্ষত শুকিয়ে
প্রতিটি রক্ত দানায় ফুটবে বিষণ্ণ লাল গোলাপ।
কলকাকলিতে মুখর হবে আমার সন্ধ্যা সকাল।
চিৎকার করে জানাব ‘তারা’দের
“একাকীত্ব কি আমি জানি না।”
ঘুমের মধ্যে ছুঁয়ে দেখব এক পশলা বৃষ্টি
সবুজে সবুজ হবে আমারই চারপাশ।
যদি তুমি চাও।