ফরিদ গাজী
ফরিদ গাজী, ছিলেন চার বিঘা জমির মালিক। বছর তিনেক আগেও বিঘা প্রতি প্রায় ২০ মণ ফসল ঘরে তুলতেন। মাঘী পূর্ণিমার পর জোয়ারের পানি চলে এলে জমিতে চাষ করতেন চিংড়ি।
বছরে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার চিংড়ি মাছের ব্যবসা হত। দুই মেয়ে আর এক ছেলে নিয়ে ছিল হাসিখুশি সংসার। নিজের কোন অভাব তো ছিলই না বরং তার জমির উপর নির্ভর করে চলত দিনমজুরি করা বেশ কয়েকটি পরিবার।
তিন বছর আগের সেই ফরিদ গাজীই আজ নিঃস্ব-অসহায়। রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পে যে প্রায় ৩৬০০ বিঘা জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে সেখানে তার জমিও গেছে। দখল করা সেই জমিতে এখনও চিংড়ি চাষ চলছে, এখনও ফসল ফলছে। কিন্তু ফরিদ গাজী সেগুলো পান না। তার লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ আর শত মণ ধান লুটেপুটে খাচ্ছে সেখানকার রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা।
ফরিদ গাজীর ছেলে এখন আর স্কুলে যায় না। ফরিদ গাজীর বৌ এখন আর নতুন ধানের সিন্নি চড়ায় না। দুই মেয়ে- আসমা আর রেশমা এখন আর নতুন ফিতায় চুল বাধে না।
>>> রামপাল জনপদের প্রতিটি মানুষের জীবন সংকটে। বিদ্যুতের প্রয়োজনে কিন্তু উন্নয়নের অজুহাতে রামপালে চলতে থাকা অন্যায়-অত্যাচার-শোষণ-নিপীড়ন কিভাবে মেনে নেয়া সম্ভব??….(চলবে)
-Mowdudur Rahman