সারা পৃথিবীতেই ক্যান্সার, কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া সহ অন্যান্য রোগের ঝুঁকি আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। যার কারনে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে আগের তুলনায় অনেক বেশি, পরিবেশ দূষণের কারনেও এইসব রোগ হয়।
বাংলাদেশের পরিবেশ দূষণ আছে কিন্তু এখনও সেই পর্যায়ে হয়তোবা যায়নি, যদিও এখন থেকে এই দূষণ রোধ না করা গেলে সেই পর্যায়ে পৌছাতে বেশি দিন লাগবে না। আমার দেখা বেশ কয়েকজন ক্যান্সার এবং কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া রোগীকে দেখে যা মনে হয়েছে তাদের রোগের প্রধান কারন ছিল খাদ্য এবং ঔষধ।
বাংলাদেশের মানুষ এখন যে সব খাবার খায় তা ফলমূল, সব্জি, পানীয়, পানি, চাল, মাছ মাংশ সে যাই হোক না কেন সেগুলি উৎপাদন করার জন্য , পাকানোর জন্য সংরক্ষণ করার জন্য প্রচুর পরিমানে সার ও বিভিন্ন ধরনের ক্যামিকেল ব্যবহার করা হয় যা বিভিন্ন রোগ সংক্রমনের জন্য দায়ী। এছাড়াও রয়েছে তাদের ওষুধ খাবার অভ্যাস এমন অনেক ওষুধ আছে যেগুলি নিয়মিত খেলে বা খুব বেশি খেলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারনে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হয়।
আসলে সময় এসেছে আমরা কি খাচ্ছি তা নিয়ে আমাদের চিন্তা করার। আপনি হয়তো বাজার থেকে মৌসুমি ফল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন আপনার শিশুর জন্য আসলে ফল না আপনি নিয়ে যাচ্ছেন বিষ।
এইসবের তালিকা যদি শুরু করা হয় তবে দেখবেন যে কোন কিছুই বাদ দেওয়া যাচ্ছে না, বাংলাদেশে মানদণ্ড দেওয়া থাকলেও সেইটা কার্যকর করার বা যারা ব্যাবসায়ী বা কৃষক তাদের তা মধ্যে মেনে চলার কোন ইছছাও থাকে না, আর প্রশাসন বা সরকারী ভাবে কোন পদক্ষেপ থাকে না, আজ হয়তো কাউকে জরিমানা করা হলে আবার সে কাল থেকেই একই কাজ করতে থাকে।
তাই আমাদের কোন আশাই নেই যে আমরা স্বাস্থ্যকর কোন খাদ্য গ্রহণ করতে পারব ।
স্বত্ব ও দায় লেখকের…