প্রেয়সীর ঠোঁটে গোলাপ ছুঁইয়ে বলেছিলাম ‘তুমি স্নিগ্ধ আর গোলাপ শুষ্ক’।
হাত কেঁটে গেলে নরম আঙ্গুলটি মুখের, ভেতর নিয়ে চুষে খেতাম রক্ত
যেন আমি রক্ত পিয়াসী প্রেমিক।
বাহু ডোরে জরিয়ে রাখতাম যেন, শীতের রুক্ষতা র্স্পশ না করে তোমার কোমল ত্বক।
তীব্রতম যন্ত্রনায় ও তোমার মুখে সাজিয়ে দিতাম হাঁসির গালিচা।
তোমার অনন্দে ভেসে ভেসে উড়তাম যেমন উড়ে নাটায়-সুতা ছাড়া ঘুড়ি।
বৃষ্টির ফোটার চাইতে কমল ছিল তোমার মুখ,
সামন্য দুষ্টু কথায় যে মুখ হত টকটকে লাল কৃষ্নচূড়া।
তোমার নুপুরের শব্দে জিঝি পোকার দল চুপটি মেরে লুকাতো,
জোনাকির আলোয় তুমি হয়ে উঠতে পবিত্র মন্দির।
আজ তুমি নেই, সেই নুপুর রাগে ক্ষোবে গায়ে লাগিয়েছে মরীচার প্রলেপ।
ক্লান্ত জিঝিরা উড়ে গ্যাছে নদীর ওপারে
আমি বসে আছি সেই ঘাটে,
যে ঘাটে পড়ে আছে তোমার প্রথম পায়ের ছাপ।
একটু শব্দেই আমি ভাবি, এই বুঝি তুমি এলে !
স্বত্ব ও দায় লেখকের…