বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। হাজারো মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম এর মধ্যে দিয়ে এই দেশ তার মেধা বিস্তার করছে। আর এই উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে পুরুষের পাশাপাশি নারীর অবদান অত্যান্ত অপরিসীম ।
আজ আমরা যদি আমাদের দেশের বিভিন্ন কর্মক্ষেত্র লক্ষ্য করি তো দেখা যাবে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা ও সমান ভুমিকা রাখছে যা কিনা আমাদের দেশ কে শতভান উন্নতি লাভে সহায়তা করছে।
কিন্তু আজও আমরা সেই নারীর প্রতি প্রাচীন দৃষ্টিকোন থেকে পিছু হাঁটতে পারছি না। মধ্যযুগের মত আজ নারীর উপর র্নীযাতনের পরিমান বেড়ে চলেছে। আজও অসংখ্য পুরুষ নারীকে তার দাসত্বের বেড়াজাল থেকে মুক্তি দিতে চায় না। আমরা যদি র্বতমানে লক্ষ্য করে দেখি তাহলে দেখা যাবে দিন আমাদের দেশে নারী ও শিশু র্ধষন, খুন বেড়েই চলেছে।
প্রতিদিন খবরের কাগজ, ব্লগ, টিভি নিউজ দেখলেই আমরা দেখতে পারি ২-৩টি র্ধষনের সংবাদ। কেন এই সব ? তবে কি আজও আমরা পড়ে রয়েছি সেই মধ্যযুগের প্রচীন দৃষ্টিকোনের র্নরদোমায়।
বাংলাদেশের প্রেক্ষপটে বছরে প্রায় ২০ হাজার নারী র্ধষিত হচ্ছে আর এদের মধ্যে প্রায় ই ১০ থেকে ১৫ বছরের শিশু। আর অনেক নারী র্ধষিত হবার পর সামাজিক ক্ষেত্রে তার অবস্থানের কথা ভেবে মুখ খুলতে রাজি হয় না। ভাবতে খুবই অবাক লাগে যাদের গায়ে লেগেছে আধুনিকতার ছোয়া কিন্তু তাদের দৃষ্টকোনে আজও নারী মাত্রই ভোগ বিলাসের বস্তু।
তাই চায় জোরালো প্রতিবাদ। দেশের উন্নয়ন করতে হলে আমাদের দৃষ্টিকোন থেকে নারীর উপর মনোভাব উন্নত করতে হবে। সেই সব নরোপশুদের বিরুদ্ধে গড়ে তুলতে হবে জোরালো প্রতিবাদ যারা আজও নারীর উপর শিকারী বাঘের মত জাপিয়ে পরে। যাদের ভয়ে র্নিযাতিত হয়েও মুখ বুজে সহ্য করে অসংখ্য নারী।
তাই আসুন সকলেই মিলে এক হয়ে, নারী ও শিশু র্নিযাতন বন্ধে সক্রিয় হয় একসাথে।
স্বত্ব ও দায় লেখকের…