নদীর এপার থেইক্কা ওপার, নৌকায় আমি দিন রাইত করি মানুষ পারাপার।
বুকের মধ্যে সুখ-দুঃখের কথা,
আর আমার বাঁশি, তাই নিয়া আমি
এই নদীর বুকখান জুইরা ভাসি।
কেডায় বা মোর আপন, কোন জনই বা মোর পর ?
নদীর বুকে চাবি-তালা ছাড়া মোর এই ঘর।
নদী ই হামার মা-বাপ, তাই জন্মসূত্রে মোরা মাঝির বংশধর।
বুকের মধ্যে সপ্ন মোর ফুটাফাটা,
ছেড়া পাল জুইরা মোর রঙীন তালি।
সপ্ন গুলান নদীর হাওয়া বাতাস খাইয়া,
দিন দিন বড় হইতাছে রঙীন তালির মধ্যে।
হঠাত্ এ কোন জড় হামার রঙীন, তালি উড়াই নিয়ে গেল সে কোন অজানা কূলে।
আমি চোখে আন্ধার দেহি, আমার নাউ আইজ পাগলা ঘোড়ার মত ছোটে কান
কোই যায় সে এই অভাগারে রাইখা ?
দুর্বার সে জড় কে ঘুম পাড়িয়ে,
সকালে সূর্যের আলো নদীর বুকে ঠায় নিল,
সোনালী সে আলোয় ভাঁসছে সপ্নের নাউ ।
রঙীন ছেড়া পাল তুলে, নতুল সপ্ন বুকে নিয়ে নাউ চলেছে অজনা গন্তব্যে,
মাঝি পাড়ে দাড়িয়ে একা !
–মল্লিক স্বাধীন রহমান
স্বত্ব ও দায় লেখকের…