মানচিত্রে সুন্দরবন এবং বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা দেখানো হয়েছে । এই দুই স্থানের মাঝখানে ছোট্ট একটি উপজেলা মংলা । সরকারের প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে কোনপ্রকার তেজস্ক্রিয়তা ছড়াবে কিনা সে প্রশ্ন অবান্তর ।
প্রশ্ন হচ্ছে,দেশে এত জায়গা থাকতে কেন্দ্রটা ওখানে স্থাপন করতে হবে কেন ?!!
দেশ নিশ্চয় সরকারের একার নয়, আসুন প্রতিবাদ করি; এদেশ আপনার, আমার, সবার।
একনজরে ক্ষতি !
১৩০০ মেগার একটি কয়লা চালিত বিদ্দুতকেন্দ্র বছরে সুন্দরবনের বাতাসে কি পরিমান বিষাক্ত রাসায়নিক মিসাবে তার একটি আনুমানিক হিসাবঃ
২৬০০০ টন সালফার ডাই অক্সাইড। এসিড বৃষ্টির মূল নিয়ামক।
২৬৫২০ নাইট্রোজেন অক্সাইড। এসিড বৃষ্টির অন্যতম এবং রাসায়নিক কুয়াসার মুল নিয়ামক।
৯.৬২ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাই।
১৩০০ টন ক্ষুদ্র কণা ( ক্ষতিকর রাসায়নিক যুক্ত) ।
৫৭২ টন হাইড্রোকার্বন ।
১৮৭২ টন কার্বন মন অক্সাইড ।
৩২৫ হাজার টন রাসায়নিক সমৃদ্ধ ছায় এবং ৫১৮ হাজার টন রাসায়নিক কাঁদা ।
৫৮৫ পাউন্দ আরসেনিক,
২৯৬ পাউন্দ সিসা ,
১০ পাউন্দ ক্যাডমিয়াম, এরসাথে থাকবে ইউরেনিয়ামের মত তেজস্ক্রিয় পদার্থ।
আমাদের সুন্দরবন কয়েক বছরের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। সুন্দরবনকে বাঁচতে দাও, বাঁচাও…আমরা রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র চাই না…
(সংগৃহীত)
স্বত্ব ও দায় লেখকের…