• মাসুমা রুনা
এই যে বাগেরহাটকে নিয়ে আমার এত প্রেম; এটা নিয়ে যথেষ্ট বিরক্ত করি সবাইকে, তাই না?
কি আর করা আমি এরকমই। বিরক্ত করতে ভালো লাগে। আজ আবার বাগেরহাটের প্যাচাল পাড়তে মনটা বড়ই উশখুশ করছে।
কাপড়ের পট্টি আর লঞ্চঘাট। মারাত্মক নস্ট্যালজিয়া!!
নিক্সন মার্কেট থেকে পুরাতন কোর্ট এর লাল বিল্ডিং গুলো পার হতে হতে আমি হারায়ে যাই!
কই হারাই জানি না।
এরপর লঞ্চঘাট এলেই তন্দুরি রুটির চুলা, ব্যাস্ত দোকানী, ডানপাশে নিউ মার্কেটের চিপা গলি (সাইকেল রাখার রাস্তা), সেই পুরনো ছোটট ছোট বিপনীগুলো, হাসান হোটেল, রাহাত হোটেলের মোড়, ভিতরে ভিতরে কেমন জানি থমকে থাকা অথচ কি ব্যস্ত তার বাইরের রুপ।
আমার নানা আড্ডা দিত “নেছারিয়া কুতুবখানায়”। ওখান থেকে গেলেই আমি একবার হলেও তাকিয়ে দেখি। নানার গন্ধ মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে সেখানে।
আমি টের পাই।
দূরে গিয়েও ভুলে যাইনি যে শহরকে, কাছে এসে কেমন করে তার কথা না বলে থাকি। রং জলে যাওয়া জামাটার জন্যও তো মায়া হয়ে যায় মানুষের; আর সেখানে পলেস্তারা খসে যাওয়া পুরো আস্ত এক শহর।
হোক মলিন, হোক জৌলুসহীন, হোক সে ভাঙা চোড়া কতগুলো গলির সমন্বয়!
তবু তাকেই আমার সবচেয়ে রুপবতী মনে হয়।
আপন আপন গন্ধে ভরা আমার বাগেরহাট।
লেখক: কবি, লেখক ও ফটোগ্রাফার।
এসআইএইচ/বিআই/০৪ জুলাই, ২০১৭
আরও পড়ুন: আমাদের মফস্বল শহর ‘বাগেরহাট’