• মোহাম্মদ আলী
গত ক’দিন ধরেই চলছিল কর্মব্যস্ততা। অসহায় শিশু নির্বাচন, তহবিল সংগ্রহ, জামার সাইজ, রঙ বাছাই, অনুষ্ঠানকে সফল করে তোলার প্রচেষ্টা, আরো কত কাজ! পরম মমতায় কাজগুলো করছিল বাগেরহাট বন্ধুসভার বন্ধুরা।
বাগেরহাট জেলা পরিষদের অডিটরিয়াম মিলনায়তন ছিল ভেন্যু। ছিল না কোন ব্যানার, ছিল না কোন অতিথি।
নতুন জামা নিতে কেউ মায়ের হাত ধরে, কেউ বাবার হাত ধরে, যার মা-বাবা নেই সে অন্য একজনের মায়ের সাথে এসেছে। ঈদ, নতুন জামা, শিশু আর হাসি শব্দ চারটি একে অপরের পরিপূরক।
ঈদে নতুন জামার আবেদন কখনোই ফুরাবে না। আজও ফুরাইনি। হাসি, আনন্দ, বিষ্ময়। বাড়ি গিয়ে কাউকে দেখাতে না পারার ছটফটানি। সবই ছিল। তবে ব্যতিক্রম ছিল শুধু রাতুল। বয়সে রাতুল অন্য সবার থেকে একটু বড়। নতুন জামা নেওয়ার সময়ও ওর মুখটা একদম মলিন ছিল। তাই হাসতে বলা হয়েছিল।
রাতুল হাসতে পারে নি। অনেক চেষ্টা করে যখন একটু হাসল তখন ওর চোখ জলে ছলছল! সংবাদকর্মী ইনজামাম দ্রুত ওকে আড়াল করে নিয়ে গেল। ইনজামাম রাতুলের পেছনের গল্প জানতে চেয়েছিল। আমি না শোনার অভিনয় করছিলাম।
রাতুলদের পেছনের গল্প শোনার মত সাহস নেই। রাতুলদের পিছনের গল্পের যত ভিতরে ঢুকব তত নিজেকে অসহায় মনে হবে। এক মুহূর্তের জন্য ইনজাম রাতুলকে আড়াল করল।
দুনিয়ার সব পিছনের গল্পকে আড়াল করে রাতুলরাই রাতুলদের সামনে নিয়ে আসুক। লাল পিরানের কষ্টগুলো যাদুঘরে বন্দি হোক।
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।
লেখক: বাগেরহাট বন্ধুসভার সদস্য।
এসআইএইচ/বিআই/১৫ জুন, ২০১৭
আরও পড়ুন- রঙিন জামা, উজ্জ্বল হাসি…